ক্ষতিপূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে গাংনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাংনী প্রতিনিধি: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত স্কুলছাত্র বিজয়ের ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। ঘন্টাব্যাপী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করায় গাংনী ও হাটবোয়ালিয়া সড়কের সকল যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়ে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী বিজয় হোসেন রাইপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে ও রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
বিজয় হোসেনের সহপাঠীরা জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের উল্লাসে বন্ধুরা সবাই রাইপুর বাজারে একটি পিকনিক করছিলো। এসময় বাথানপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাসিবুর ও তার দুই বন্ধু শান্তসহ তিনজন একটি ডিসকভারি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চালিয়ে আসছিলেন। এসময় বিজয় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলো। মোটর সাইকেল চালক বিজয়কে ধাক্কা দেয়। এসময় বিজয়ের বাম পা ভেঙে যায় এবং রক্তাক্ত জখম হলে স্থানীয়রা তাকে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিজয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা অর্থপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে বিজয় চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিজয়ের চিকিৎসায় মোটা অংকের টাকা খরচ হলেও সে এখনও সুস্থ হতে পারেনি। অন্যদিকে মোটরসাইকেল চালক হাসিবুর অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নামে থানায় জিডি করেন। বিষয়টি গাংনী থানায় অভিযোগ করা হলেও গাংনী থানা বিষয়টি আমলে না নিয়ে গড়িমসি করছেন বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বিজয়ের বড় ভাই বিপ্লব হোসেন বলেন, বিজয় একজন মেধাবি শিক্ষার্থী। তাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। যারা আমার ভাইকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়েছে তারা এ পর্যন্ত বিন্দুমাত্র খোঁজ নেয়নি। বিজয়ের পায়ে রড পরানো রয়েছে। বেশ কয়েকবার অপারেশন হয়েছে। আবারো অপারেশন প্রয়োজন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মোটা অংকের টাকা। তার সুচিকিৎসা না হলে বিজয়ের জীবনে নেমে আসবে অন্ধকার। সে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। অথচ আমার ভাইকে মোটারসাইকেলে চাপা দিয়ে রাইপুরের অনেক ছেলেদের নামে মিথ্যাভাবে ডায়রি করেছে। আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি জানতে পেরে রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপুসহ ইউপিসদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু বলেন, বিজয়ের আহত হওয়ার ঘটনা আমি লোকমুখে শুনেছি। বিষয়টি দুই এক দিনের মধ্যেই দুপক্ষের সাথে বসে স্থানীয়ভাবে সুষ্ঠু বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমি বিজয়ের অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে বসে বিষয়টি দ্রত সমাধানের চেষ্টা করছি।

Comments (0)
Add Comment