গাংনীতে সবজির মূল্য আকাশচুম্বি : লেবুর হালি ৬০ টাকা

প্রশাসনিক নজরদারী অভাবে বাজার উর্ধ্বমুখী বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতারা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে সব ধরণের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সবজির মূল্য আকাশচুম্বি। পাশাপাশি রমজানের পণ্য হিসেবে বহুল চাহিদার লেবু বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৬০ টাকা। এছাড়াও মাছ এবং মাংসের দাম কিছুটা উর্ধ্বমূখী। পেঁপে শসা আর বেগুনের বাজারে আগুন। সরবরাহ আগের মতো থাকলেও রমজানে সব শ্রেণির মানুষ বাজারে ভিড় করায় চাহিদা বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে প্রশাসনিক কোনো নজরদারী না থাকায় সবজি বাজার উর্ধ্বমুখী বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতারা।

গাংনীর বামন্দীসহ কয়েকটি হাট বাজারে দেখা গেছে, রোজা শুরুর আগে যে বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, সে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। রমজানের একদিন আগেও শসা বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। সেই একই শসা রমজানের শুরুতেই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, লালশাক ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা ও সাদা শাক (ডাটা) ৫৫ টাকা, লেবু ৩০-৬০ টাকা হালি, কাঁচাকলা ৩০ টাকা, সজনে ডাটা ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর গাঁজর বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি।

ক্রেতারা জানান, বাজারের সবজি বিক্রেতারা এক হালি লেবু বিক্রি করছেন ৩০ টাকা। একই লেবু গাংনী মসজিদের সামনে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করে চড়া দরে লেবু বিক্রি করছেন।

এদিকে বাজারের অগ্নিমূল্যের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো নজরদারি নেই। দু’য়েকজন বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান করা হলেও তা লোক দেখানো বলে মন্তব্য ক্রেতাদের।

এদিকে পেঁয়াজ ও আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ বেড়েছে বেশ। বর্তমান বাজারে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। সরকারি দেয়া মূল্য তালিকা থাকলেও তেল, লবণ, চিনি, ছোলা, মসলা, বেসন ইত্যাদি কিছুটা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজানে মাছের দাম বাড়েনি। অন্যান্য দিনে যে দামে মাছ বিক্রি হয় রমজানে সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারেও মাছের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাছ ১০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে গেলো দুই মাস আগে থেকে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দর ৬০০-৬৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে একাধিকবার মিটিং করে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাজারও মনিটরিং করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার কেউ চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Comments (0)
Add Comment