চলতি মৌসুম থেকেই শতভাগ ভাটায় ইট তৈরিতে কয়লার ব্যবহার করার প্রত্যয় 

চুয়াডাঙ্গায় ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতি খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় চলতি উৎপাদন মৌসুম থেকেই শতভাগ ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে কয়লা ব্যবহারে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতি। শনিবার চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত সংগঠনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা থেকে কাঠের পরিবর্তে কয়লা পোড়ানোর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভায় খুলনা বিভাগের জেলাসমুহের ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।  এসময় ইট পোড়ানোর জ্বালানী কয়লার ন্যয্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হয়রানি বন্ধে সরকারের কাছে বেশকিছু দাবি জানানো হয় ।বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা এই বিশেষ সভার আয়োজন করে।সভায় আরও জানানো হয় চলতি উৎপাদন মৌসুমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় একযোগে আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ইট কাটা শুরু এবং ২৪ ডিসেম্বর ভাটাই আগুন দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা’র সহ-সভাপতি ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,খুলনা বিভাগীয় ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির আহ্বায়ক আব্দুল জলিল খান।প্রধান অতিথি বলেন,‘ সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা খুলনা বিভাগের শতভাগ ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে কাঠের পরিবর্তে কয়লা ব্যবহার করতে চাই। কিন্ত, কয়লার ন্যয্যমূল্য নিশ্চিত না হলে তা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর।’ বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেবের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের যশোর জেলা শাখার সভাপতি কাজী নাজির আহমেদ, ঝিনাইদহ মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান,কুষ্টিয়া মালিক সমিতির সভাপতি ও ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ।বক্তারা বলেন,যারা টিনের চিমনি ব্যবহার ও ইট পোড়াতে কাঠ ব্যবহার করে তাঁদের বিরুদ্ধে সমিতির শক্ত অবস্থান থাকবে।সংগঠনের নির্দেশনার বাইরে কেউ অনিয়ম করলে প্রশাসনের সহযোগিতায় কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী পাবনার রূপপুর থেকে কাঠে পোড়ানো নিম্নমানের ইট নিয়ে এসে কুষ্টিয়ায় কমদামে বেচাকেনা করছেন। এতে ,মানসম্মত ইটপ্রস্তকারীরা ব্যবসায়িক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সভার সভাপতি ইকবাল মাহমুদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৩ সালের ইট প্রস্তত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ)আইন ২০১৩ বাস্তবায়নের নামে ভাটা মালিকদের ছাড়পত্র আটকে রাখছেন ।এছাড়া,ভাটায় অভিযানের নামে মালিকদেরকে হয়রানি করছেন। অথচ, কয়লার মূল্য খেয়ালখুশি মতো বৃদ্ধি করা হলেও সেদিকে কারো খেয়াল নেই। তিনি ঘোষণা দেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে ইট প্রস্তুতকারী সমিতি কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

Comments (0)
Add Comment