চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমান্তে নির্মম নির্যাতনের শিকার দু ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হাদার ঠাকুরপুর সীমান্তে অমাননিব নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের দুজন নাগরিক। শুক্রবার দিনগত রাতে ওই সীমান্ত থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। ভারত থেকে গরু পাচার করে আনতে গিয়ে সে দেশের সীমান্তরক্ষির হাতে ধরপড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে এলাকায় খবর চাওর হলেও বিষয়টি পরিষ্কার করছেন না কেউ।
নির্যাতনের শিকার দুজন হলো, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছী ইউনিয়নের ঠাকুরপুর বাজারপাড়ার ইছাহাক আলী মোল্লার ছেলে কদম আলী (৩৫) ও মৃত আব্দুস সামাদের ছেলৈ কালু ওরফে বাবু (২৮)। দুজনকেই রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কদম আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। শনিবার সকালে আহতদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশীদের কয়েকজন বলেছেন, এরা এলাকার কিছু গরু পাচারকারীদের রাখার হিসেবে কাজ করে। শোনাযাচ্ছে, শুক্রবার সন্ধ্যর পর ওরা ভারত সীমান্তে গরু আনার জন্য যায়। বিএসএফ’র হাতে ধরাড়লে ওদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে সীমান্তেই ফেলে রাখে। পরে উদ্ধার হয়। ভারত সীমান্ত রক্ষীরা এখন করোনার ভয়ে বাংলাদেশী কাউকে তাদের সীমানার মধ্যে পেলে আটকের বদলে হয় মারধর করছে, না হয় গুলি করে মারছে। এদিকে বাংলাদেশ সরকারও ভারত থেকে গরু পাচার করে আনা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপরও কিছু লোক রয়েছে যাদের প্ররোচনায় দরিদ্র কিছু পরিবারের ছেলেরা সীমান্তে যাচ্ছে গরু আনতে।
তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুর মা রশিদা খাতুন বলেন, ওই সীমান্তে আমাদের কিছূ জমি আছে। জমি দেখতে গিয়ে জমি নিয়ে যাদের সাধে বিরোধ রয়েছ তারা মেরে আহত করেছে কিনা তা দেখতে হবে। যদিও জমি নিয়ে কাদের সাথে বিরোধ? এ প্রশ্নের জবাবে রশিদা খাতুন নীরব থেকেছেন। অপরদিকে কদম আলীর শয্যাপাশে থাকা লোকজনের আচরণ ছিল সন্দেহজনক। কদম আলীর আহত হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
দর্শনা থানার ওসি মাহাবুবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকমুখে শুনেছি শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কদম আলী ও বাবু ওরফে কালু নামের দুজনকে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বিএসএফের সদস্যরা তাদেরকে পিটিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় ফেলে রেখে গেছে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়েছে। এর সত্যতা নিশ্চিত হতে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

Comments (0)
Add Comment