চুয়াডাঙ্গার মেধাবীরই দেশ বিদেশে শক্ত অবস্থান গড়ে এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত করবে বলে আশাবাদ

ভলান্টিয়ার্স আয়োজিত সেলিব্রেশন অব সাকসেস অনুষ্ঠানে মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারীরা সংবর্ধিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মেধাবীরই দেশ বিদেশে শক্ত অবস্থান গড়ে এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত করবে। এ আশাবাদ ব্যাক্ত করে জেলার মেধাবীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেলার সফল কৃতি সন্তানদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী অতিথিরা বলেছেন, কোন কারনে চুয়াডাঙ্গার মেধা অকালে ঝরতে দেবো না।
চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স আয়োজিত জেলা শহরের হোটেল সাহিদ প্যালেসে অনুষ্ঠিত ‘ সেলিব্রেশন অব সাকসেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন সিঙ্গাপুর- বাংলাদেশ ব্যবসায়ী অ্যসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামান টরিক, বাংলাদেশ এফবিসিসিআই’র নব নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মিনিস্টার হাইটেক পার্কের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর আড়াইশ বেড় হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. এমএ রশীদ, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম দোলন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন, সময়ের সমিকরণ প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা কাউন্সিলর সাংবাদিক কামরুজ্জামান চাঁদ সরাসরি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকার শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের এক্সকিউটিভ ডাইরেক্টর আব্দুল্লাহ আল নোমান। সার্বিক দায়িত্বে থেকে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সমন্বয়ক আসলাম হোসেন অর্ক। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন ডা. ইমরান। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার এবারের ১৬ জন কৃতি শিক্ষার্থী যারা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদের ও তাদের মাতা পিতাকে সংবর্ধিত করা হয়। সংবর্ধিতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী নওরীন সুলতানা শ্যামা ও তার মা রশিদা খাতুন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সাদিক ও তার পিতা শিক্ষক মো. মঈন উদ্দীন, খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী নওসিন নূর ও তার মা একাডেমীর সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন, মুগদা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম মোহ প্রমুখ তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও সংবর্ধিতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, মুগদা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী এসএম সাকিব মাহমুদ, রংপুর মেডিকেল ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা নূপুর, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী সৈয়দ সামিউল্লাহ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী মাইসা ফারজানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী সানজানা সামান্তা এলিন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী জান্নাতি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী আসিব ইমন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী তৌহিদ, সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থী মোছা. শারমীনসহ তাদের অভিভাকেরা উপস্থিত থেকে সংবর্ধিত হন।
আয়োজকদের মধ্যে পুসাক এর প্রতিষ্ঠাতা মেশকাত আহমেদ ডুসাক সভাপতি নাজমুল হুসাইন সুজন, রুসাক সভাপতি রাসেল, জাহাঙ্গীরনগর বি্শ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেলিম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত থেকে আয়োজনকে সফল করে তোলেন। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মুক্তমনে লক্ষ্যে পৌছুনোর আহ্বান জানিয়ে শেকড় না ভোলার তাগিদ দেন। সিঙ্গাপুর প্রবাসী চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান হাজি সাহিদুজ্জামান টরিক বলেন, চুয়াডাঙ্গার মেধাবীরাই আগামী দিনে এলাকার মুখ উজ্জ্বল করবে। মেধাবীদের পাশে বিগত দিনেও ছিলাম, এখনও আছি। আগামী দিনেও সব রকমের সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরাসরি মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ আয়োজনের উদ্যোগ নেবো। মিনিস্টার হাইটেক পার্কের চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গার গর্বিত সন্তান আব্দুর রাজ্জাক রাজ সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, মিনিস্টার গ্রুপ যেমন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ^ দরবারে নিজের জায়গা করে নিয়েছে, তেমনই চুয়াডাঙ্গার মেধাবীরাও শক্ত অবস্থান গড়ে এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত করবে বলে আমার বিশ^াস। আমি ও আমরা মেধাবীদের পাশে আছি এবং থাকবো। ডা. এমএ রশীদ বক্তব্যে মেডিকেল কলেজে পড়া সম্পন্ন করে সেবার ব্রত নিয়ে মহান পেশাগত দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নিষ্ঠার সাথে লেখাপড়া সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরামও তার মেডিকেল কলেজে পড়ে চিকিৎসক হওয়ার অভিজ্ঞতার অংশ বিশেষ বর্ণনা করে বলেন, প্রতিদিনের লেখাপড়া প্রতিদিন করতে পরলে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করা সহজ হবে। অন্যথায় খেয় হারানোর ঝুকি থাকবে।
আয়োজনে অন্যতম সহযোগি ছিলো চুয়াডাঙ্গার হেল্থ এইড মেডিকেল সেন্টার ও শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

Comments (0)
Add Comment