চুয়াডাঙ্গায় আরও মৃত্যু : করোনায় অসহায় করা পরিবারে অবশেষে শোকের ছাঁয়া 

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা কয়েকদিন ধরে  অসহায় করে তোলা পরিবারে শেষ পর্যন্ত শোকের ছায়া নামিয়েছে। ছেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে। পিতা ছিলেন বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে। সেবিকা পুত্রবধ্ওূ করোনার সাথে লড়াই করে বড্ড ক্লান্ত। তবে সুস্থ।  এরই মাঝে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা পিতা কাছেদ আলী মোল্লা।

আনুমানিক ৭৮ বছর বয়সী কাছেদ আলী মোল্লা চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় সরদারপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। মৃদুভাষি মানুষটাকে এলাকার প্রায় সকলে ভালো মানুষ হিসেবেই জানতেন। সংসারটাও ছিলো সাজানো। পুত্রবধূ সেবিকা। মহামারি করোনা কয়েকদিনের মধ্যেই উলোটপালট করে দিয়েছে। ছেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। কাছেদ আলী মোল্লা কয়েকদিন ধরে করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। বাড়িটি লাল পাতকা দিয়ে চিহ্নিত করা। ভয়াবহ ছোঁয়াছে কথা শুনে প্রতিবেশীদের মধ্যেও ছিলো ভিতি। কেউ উকিও মারতে যাননি ওই বাড়ি। এরাই মাঝে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় কান্নার শব্দ। স্বাস্থ্য বিভাগ খবর পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির নাম ও মুক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এ নমুনা পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের যেমন প্রতিটি মহল্লায় ভয়াবহ আকারে ছড়িয়েছে করোনা, তেমনই শহরতলী দৌলাতদিয়াড়েও বেশ ক’জন কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে। করোনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়লেও সংক্রমণ রোধে শতভাগ বিধি মেনে চলছেন না অনেকে। ফলে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

Comments (0)
Add Comment