চুয়াডাঙ্গায় আরও ৬ জন বেড়ে সক্রীয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে, একজন জীবননগর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭শ ৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬শ ২৫ জন। গতকাল নতুন ৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে প্রেরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্তদের মধ্যে ৯৬ জন সক্রিয় রোগী। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬৭ জন। বাড়িতে রয়েছেন ৫৪ জন। হাসপাতালে ১২ জন। ঢাকায় ১ জন। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩ জনের মধ্যে ৩ জনই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে বাকি ১৭ জন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে জানা গেছে। জীবননগর উপজেলায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী ৮ জন। একজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। ৭ জন বাড়িতে রয়েছেন। গতকাল বুধবার নতুন শনাক্তকৃত ৬ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার ১ জন, ফার্মপাড়ার ১ জন, গুলিস্তান পাড়ার ১ জন, মালোপাড়ার ১ জন মাঝেরপাড়ার ১ জন। জীবননগর উপজেলার একজনের বাড়ি রাজাপুর গ্রামে। গতকাল ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ৬ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়।
শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, বিশে^র বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশের প্রায় সব এলাকাতেই নোভেল করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়াচ্ছে। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে মৃত্যু। দেশে গতকাল মারা গেছেন ৬৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪শ ৪৭ জন। সরকারি হিসেবে এটা হলেও বেসরকারি হিসেবে আরও অনেক বেশি বলে ধারণা অনেকের। গতকাল দেশে মোট নতুন শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৬শ ২৬ জন। এ নিয়ে মোট শানাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২শ ৭৮ জন। গতকাল সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ হাজার ২শ ৫৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬শ ৩৯ জন।
দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পুনঃ পুনঃ আহ্বান জানিয়েও প্রত্যাশিত সাড়া মিলছে না। চুয়াডাঙ্গা জেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, সারা দেশে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকারে সংক্রমিত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গাতে ঝুঁকি পদে পদে। প্রশাসনের তরফে পৌরসভার পক্ষে মাইকিং করাসহ নানাভাবে সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সর্বস্তরে দায়িত্ব পালন করছেন। জনসাধারণকে নিজেদের এবং সমাজকে সুরক্ষার স্বার্থে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার জন্য অনুরোরধ জানাচ্ছি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার ৮ হাজার ৮শ ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে, বুধবার পর্যন্ত ৮ হাজার ৫শ ৩৯ জনের। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭শ ৭৩ জন। মারা গেছেন ৫৩ জন। মাঝে কিছুদিন সংক্রমণের হার কমলেও গত এক মাসে রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সকলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি বেশামাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ল্যাবে যে হারে নমুনা প্রেরণ করা হচ্ছে সে হারে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। জট বেধেছে। নমুনা পরীক্ষার জট বাধার পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়লে সামাল দেয়া কঠিন।

Comments (0)
Add Comment