চুয়াডাঙ্গায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮০ : আরও শনাক্ত ৫২

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৪জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮০ জনে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে মারা গেছেন ১৬৩ জন এবং জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ১৭ জন। এদিন নতুন করে আরও ৫২ জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৪৬ জনে। শনিবার সুস্থতার সনদ পেয়েছেন ২৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ৪ হাজার ১৭ জন।
অপরদিকে, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কয়েকদিন যাবত নমুনা সংগ্রহ কমিয়ে দেয়ায় শনাক্তের সংখ্যা কমেছে। সেই সাথে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা কমছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তকৃত সক্রিয় রোগী ১ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৮৪ জন। বাড়িতে রয়েছেন ১৭৬৫ জন। ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চারজন। তবে করোনা আক্রান্ত হয়ে যে দুজন মারা গেছেন তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে এর মধ্যে মেহেরপুর জেলার পুরাতন দরবেশপুর গ্রামের এক বৃদ্ধা কয়েকদিন যাবত জ্বর, ঠান্ডাজনিত কারণে ভুগছিলেন। গত ২৪ জুলাই রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
দামুড়হুদা উপজেলার ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামে এক নারী করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ জুলাই সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হলুদজোনে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে ৪২ বছর বয়সী এই নারীর মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের এক বৃদ্ধ বেশ কিছুদিন যাবত জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন। গত ২৭ জুলাই বেলা পৌনে ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালের হলুদজোনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার এক বৃদ্ধা কয়েকদিন যাবত জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৪ জুলাই সকাল সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা ইউনিটের হলুদ জোনে রেখে চিকিৎসা দেন তাকে। গত ৩০ জুলাই রাত ৮ টার দিকে ৯৩ বছর বয়সের এই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
শনিবার রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট ২১৪টি নমুনার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ৫২ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ১৯ জন, আলমডাঙ্গায় ৮ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন এবং জীবননগরের ১৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ফলাফল পাওয়া গেছে ২ হাজার ১০১ জনের।
শনিবার নতুন করে আরও ১৯৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২২ হাজার ৪৬০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ এবং জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ১৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন।

 

Comments (0)
Add Comment