চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির আগে বিক্রির জন্য ২৮ হাজার গরু ৮২ হাজার ছাগল প্রস্তুত

 

আনোয়ার হোসেন: পবিত্র ঈদ উল আজহা আসন্ন। বৈশি^ক মহামারি গতবারের কোরবানীর ঈদকেও অনেকটা ম্লান করে দেয়। এবারও অভিন্ন অবস্থা। এরপরও ঘরে ঘরে গরু ছাগল পালনকারীদের মধ্যে ভালোদামে গৃহপালিত পশু বিক্রির আশায় দিনগুণছেন। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের হিসেবে এবার কোরবানীর জন্য চুয়াডাঙ্গায় ২৮ হাজার ১শ ৭৬টি গরু, ৮২ হাজার ২শ ৩৬টি ছাগল ও ৭৮০টি ভেড়া পালন করা হয়েছে।
গতবছর কোরবানীর ঈদের আগে গরু ছাগলের দাম খামারিরা প্রত্যাশা মতো পাননি। অনেকেরই গুনতে হয়েছে লোকসান। পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু ছাগল পালন করতে গিয়ে খামারিদের খরচ করতে হয় অনেক। সে অনুপাতে পালিত পশুর দাম না পেলে ছোট বড় খামারিদের মধ্যে পশুপালনে আগ্রাহ হারায়। করোনা ভাইরাস সমস্যার কারণে গতবার বাজার মন্দা হলেও খামারিরা এবার ভালো দাম পাবে আশায় অনেকেই গরু ছাগল ভেড়া পালন করেছেন। এখন অপেক্ষা বিক্রির। জেরা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেছেন, জেলায় যে পরিমানের মাংশের চাহিদা, তার চেয়ে অনেক বেশিই উৎপাদন হয়। উদ্বৃত্ত গরু ছাগল ভেড়া মুরগি দেশের বড় বড় শহরের চাহিদা পুরণে সহায়ক হয়। চুয়ডাঙ্গা জেলায় গরু ছাগল ভেড়ার পরিমান ১ লাখ, ১২ হাজার ৯শ ৫৫ টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৬শ ১৩, আলমডাঙ্গায় ৩৮ হাজার ৭শ ৮১ টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৬ হাজার ৪শ ৮৫টি। জীবননর উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৬টি। কোরবানির হাটে বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে জেলায় পালন করা গরুর সংখ্যা ২৮ হাজার ১শ ৭৬, ছাগল ৮২ হাজার ২শ ৩৬ ও ভেড়া বা গারল ৭৮০টি। চুয়াডাঙ্গার বেশ ক’জন খামারির সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতবারের মতো এবারও লোকসান হলে অনেক খামারি বিশেষ করে ঘরে ঘরে পালন করা গরু ছাগলের সংখ্যা আগামীতে কমে যাবে। অবশ্য কিছু খামারির গরু ইতোমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে। যারা খামার থেকে গরু বিক্রি করছেন তাদের অনেকেই বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার বর্তমানে গরু ছাগলে দাম ভালো। নীলমণিগঞ্জের নবীছদ্দিন বললেনর, আমার খামার থেকে ইতোমধ্যেই ১৭টি গরু বিক্রি করেছি। প্রতিটি গরুর দামই পেয়েছি প্রায় লাখ টাকা করে। এদিকে খামারি তারিক, উজ্জল হোসেন, রফিকুল ইসরামসহ অনেকেই বলেছেন, এবার গরু ছাগলের দাম বেশি পাওয়ার আশায় দিন গুনছি। গ্রামে গ্রামে অনেক ব্যাপারী ঘুরছেন। দামও বলছেন। এখনও পর্যন্ত বাজার ভালোই রয়েছে। দেখি আর একটু বাড়ে কিনা। কিছুটা বাড়লেই বিক্রি শুরু করবো আমরা।

Comments (0)
Add Comment