চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে কম্পিউটার সফটওয়ার ইনিঞ্জনিয়ারের মৃত্যু

বৃষ্টিতে ভিজে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসুল করতে নেমে নিখোঁজ : খুলনার ডুবুরি তুললেন মৃতদেহ
স্টাফ রিপোর্টার: মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে চুয়াডাঙ্গার একজন মেধাবী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরের বন্ধুদের সাথে বৃষ্টিতে ভিজে গোসুলের জন্য মাথাভাঙ্গা নদীতে নেমে মুন্না নামের এই সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ হয়। খুলনা থেকে ডুবুরি এনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা হাটকাটলুগঞ্জের নিকটস্থ মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে চুয়াডাঙ্গা পোস্ট মাস্টার হাটকালুগঞ্জ পুরাতন ঈদগাপাড়ার মোমিনুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, ঢাকাতেই থাকতো মুন্না। গত রোজার মধ্যে বাড়ি আসে। করোনার কারণে দেশে লকডাউন থাকায় তাকে আর ঢাকায় যেতে দেয়া হয়নি। এর মাঝে বন্ধুদের সাথে মেতে নদীতে নেমে মারা গেলেন মেধাবী যুবক মাইনুর রহমান মুন্না (২৬)। মাইনুর রহমান মুন্না চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে ঢাকার এআইইউবি থেকে কম্পিউটার সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে। একই বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষতাও শুরু করেন বলে জানিয়েছেন তার নিকটজনেরা। ফুটফুটে মেধাবী যুবকের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, মাইনুর রহমান মুন্না তার বন্ধু সিঅ্যান্ডবি ঈদগাপাড়ার সবুজ ও মোমিনুল ইসলামের সাথে শনিবার দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজে আনান্দ করে। এরই এক পর্যায়ে ১টার দিকে তিন বন্ধু পাশর্^বর্তী মাথাভাঙ্গা নদীতে নামে। কিছুক্ষণেল মধ্যেই পানিতে তলিয়ে যায় সাতার না জানা মাইনুর রহমান মুন্না। তাকে তার পাশে থাকা বন্ধু সবুজ মুন্নাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে যায়। মুন্না তার বন্ধু সবুজের হাত ধরেও ফেলে। সবুজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সে নিজেও ডুবতে থাকে। পাশে থাকা অপর বন্ধু মোমিনুল দ্রুত সবুজকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মুন্না পানিতে ডুবে যায়। শুরু হয় তার মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য তল্লাশী। খবর দেয়া হয় ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সে। স্থানীয়দের পাশাপামি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তল্লাশী করে খুজে না দীর্ঘশ্বা ছাড়তে থাকেন উপস্থিত সকলে। চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মাসুদ রানা বলেন, আমরা চেষ্টা করার এক পর্যায়ে খুলনায় খবর পাঠায়। খুলনা থেকে ডুবুরী এসে একই স্থান থেকে মুন্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পারিবারিকভাবে জানা গেছে, মাইনুর রহমান মুন্নার পিতা মোমিনুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পোষ্ট অফিসে চাকরি করেন। একমাত্র ছেলে মুন্না ও এক মেয়েকে নিয়ে পিতা মোমিনুল ইসলামের সংখ্যার অনেকটাই গোঁছালো। ছেলের লেখাপড়াও শেষ হয়েছে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারও হয়েছে। গত রোজার মধ্যে সে বাড়ি ফেরে। ঈদ করে আবারও ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। লকডাউনের কারণে তার আর ঢাকায় যাওয়া হয়নি।

Comments (0)
Add Comment