চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারক মাগুরার শিপন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: বিকাশ প্রতারকচক্রের সদস্য শিপন হোসেন। বিকাশ এজেন্টের কাছে গিয়ে টাকা পাঠানো মোবাইল নম্বরের খাতার ছবি তোলায় ছিলো শিপনের মূল লক্ষ্য। সেই ছবি অনলাইনের মাধ্যমে পাঠাতেন চক্রের অন্যান্য সদস্যদের কাছে। তারা বিকাশ এজেন্ট বা দোকান মালিক সেজে খাতায় লেখা মোবাইল নম্বরে ফোন করে বুনতেন প্রতারণার জাল। এ চক্রেরই একজন সক্রিয় সদস্য্য শিপনকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত শিপন হোসেন (২৭) মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার সরদার কালীনগর গ্রামের বেলায়েত আলী মোল্লার ছেলে। গ্রেফতারের পর শিপনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বড়বাজার এলাকার বিকাশ এজেন্ট আবু সালেহ আল মিজবাহ। শিপনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার বড়বাজার এলাকায় রিচার্জ পয়েন্ট নামে একটি দোকান থেকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রাহক। ওই দোকানের মালিক পরিচয় দিয়ে টাকা পাঠানো নম্বরে ফোন করে কৌশলে হাতিয়ে নেয় বিকাশের টাকা। পরবর্তীতে এসে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তোলেন প্রতারিত গ্রাহকরা। এ ধরনের বেশকয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন রিচার্জ পয়েন্টের মালিক আবু সালেহ আল মিজবাহ। মনে মনে সন্দেহের তালিকাও তৈরি করেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে বড়বাজারের বিকাশ এজেন্ট মিজবাহ’র দোকানে যান সন্দেহভাজন যুবক শিপন। এর আগের দিন গতপরশু শনিবারও তিনি ওই দোকানে বিকাশ এজেন্টের খাতার ছবি তোলেন। বিষয়টি চোখে পড়লেও অতটা গুরুত্ব দেননি এজেন্ট মিজবাহ। ওই যুবক চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই জানা যায় বিকাশ এজেন্ট মিজবাহ’র কাছ থেকে পাঠানো সনি নামের এক গ্রাহকের ১৫ হাজার টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র। তখনই সন্দেহ হয় ওই যুবকের উপর। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে শিপন আবারও দোকানে গেলে খবর দেয়া হয় পুলিশে। পুলিশ তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রতারকচক্রের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। বলেছেন চক্রের অন্য সদস্যদের নামও।
এ ঘটনায় সদর থানার এসআই শামিম হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে শিপন হোসেন। প্রতারক শিপনের কাজ ছিলো বিভিন্ন দোকানের বিকাশের খাতার ছবি তুলে অন্য প্রতারকদের কাছে সরবরাহ করা। পরে ওইসব নাম্বারে কল করে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হতো বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বিকাশ এজেন্ট আবু সালেহ আল মিজবাহ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।

Comments (0)
Add Comment