চুয়াডাঙ্গায় ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ : সক্রিয় রোগী ৬১ জন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। রোববার নতুন শনাক্ত ৬ জনেই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা। এদের ৪ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ রোববার নতুন ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন পূর্বের ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। ৬ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার ২ জন, বিজি হাসপাতালের ১ জন, ইসলামপাড়ার ১ জন, দৌলাতদিয়াড়ের ১জন ও ঝোড়াঘাটা গ্রামের একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮শ ৮৪ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলারই ১ হাজার ২ জন। রোববার পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭শ ৬৫ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন। দেশে গতকারে ৫৬ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১১ হাজার ৯৩৪ জন।
চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে সক্রিয় ৬১ জন রোগীর মধ্যে বাড়িতে ৫২ জন, হাসপাতালে ৬ জন, রেফার রয়েছেন ৩জন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সক্রিয় রোগী ৩০ জন। ২২ জন বাড়িতে, ৫ জন হাসপাতালে ও ৩ জন রেফার্ড রয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় সক্রিয় রোগী ৫ জন, হাসপাতালে একজন বাড়িতে ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৪ জনের সকলেই বাড়িতে, জীবননগর উপজেলার ১২ জনের মধ্যে ১২ জনই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত: সারা দেশে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬ হাজার ৯শ ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩শ ৮৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ ১৩ জন। সুস্থ হয়েছেন মোট ৭ লাখ ১০ হাজার ১শ ৬২ জন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৪শ ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৯ হাজার ১শ ৭৫ জনের।
করোনা ভাইরাস এতোটাই ভয়াবহ ছোঁয়াছে যে, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্য দিয়েও সংক্রমণ হতে পারে। ফলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তাছাড়া বাইরের একের সাথে অপরের স্পর্ষও বারণ। অথচ ঈদের কোনা কাটায় মেতে মানুষ ভয়ানক ভয়ারসকে ভুলতে বসেছে। অবাক হলেও সহ্য যে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে মানুষ মরছে গণহারে। রোববারও ৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বিষয়টি জানারপরও স্বাস্থ্য বিধি অবজ্ঞার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। দেশে কঠোর লকডাউনের পরও পরিবেশ যেনো বেশামাল। প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার। অসতর্কতা সমাজে বয়ে অনতে পারে বড়ধরণের বিপর্যয়।

Comments (0)
Add Comment