চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসে অনুসন্ধানে প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কমিটি

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলাদা আলাদাভাবে স্বাক্ষ্য গ্রহণ : শোনেন অভিযোগের কথা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সদ্য সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদুল আলম চৌধুরীসহ অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় থেকে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসেন দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। এ সময় অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেন তারা। স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন ভুক্তভোগীদের। আবেদনকারীদের কাছ থেকে শোনেন নানা অভিযোগের কথা। গত ৮ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল সিন্ডিকেট নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভিতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। পরে গত ২০ নভেম্বর বিষয়টি তদন্তে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান। দুই সদস্য বিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রধান কার্যালয়ের সিআরআই শাখার সহকারী পরিচালক আজিজুল ইসলামকে। সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আরেক সহকারী পরিচালক কল্লোল হাসান। কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম জানান, গত ২০ নভেম্বর দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারপর থেকেই তদন্ত কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে অনুসন্ধানসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। গতকাল রোববার সারাদিন এসব তদন্তকাজ করা হয়। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তিনি আরও জানান, প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই, অফিসের অনিয়ম-অসঙ্গতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ তৈরির কাজ করা হচ্ছে। দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালক বরাবর জমা দেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল সিন্ডিকেট নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভিতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনে উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্য, কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা, দালাল সদস্যদের অনাধিকার চর্চার বিষয়টি উঠে আসে। পরে গত ২০ নভেম্বর বিষয়টি তদন্তে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

Comments (0)
Add Comment