চুয়াডাঙ্গা শহরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু : আহত ২

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ায় সাত তলা ভবন থেকে পড়ে ইয়াসিন আলি (২৬) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই নির্মাণ শ্রমিক। গতকাল রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে শহরের মুক্তিপাড়ায় ব্যবসায়ী টিটু মিয়ার ভবনে লিফটে ঢালাই কাজের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন আলি চাপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা এলাকার কুরবান আলীর ছেলে। আহতরা হলেন-নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা গ্রামের বিপদ রবি দাসের ছেলে উত্তম কুমার দাস (২৭) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমুরদিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশিক (২৪)। আহত দুজনের মধ্যে উত্তম কুমারকে চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। আশিককে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আহত নির্মাণ শ্রমিক আশিক বলেন, আমরা ছয় শ্রমিক সাততলায় লিফটে ঢালাই’র প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নিচে রড দিয়ে কাঠের বোর্ডের ভারার (মাচা) ওপরে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলো উত্তম কুমার ও ইয়াসিন আলি। আমি পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ ভারা ভেঙে ৭তলা থেকে দু’জনই নিচে পড়ে যায়। আমিসহ দু’জন লাফ দিয়ে রক্ষা পেলেও আমি আহত হয়। পরে দ্রুত নিচে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি আরও বলেন, উত্তম কুমার লিফটের নিচে জমে থাকা পানিতে পড়েছিলো। এ জন্যেই সে গুরুতর আহত হলেও প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবাইদা জামান (জয়া) বলেন, ইয়াসিনকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। উত্তম কুমার ও আশিককে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উত্তম কুমারকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা এখনি বলা সম্ভব নয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, গতকাল পুলিশের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত করতে যাবতীয় কাগজপাতি আমাদের দেয়নি। গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, ছাদ থেকে পড়ে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবশেষ জানতে রাতে ওসির সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।