চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নার্স লাঞ্ছিতের মামলায় একমাত্র আসামি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নার্স লাঞ্ছিতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি আলমডাঙ্গা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম পিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া আলম পিন্টু (৩৩) সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সিনিয়র স্টাফ নার্স রেহানা বেগম ও সেবিকা রেশমা আক্তারসহ কয়েকজন ডিউটি করছিলেন। এ সময় ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পিতা জাকারিয়া আলম পিন্টু নার্সদের ওয়ার্ডের অফিসকক্ষে যান তার মেয়ের শারিরীক অবস্থা জানতে। সেখানে কাউকে না পেয়ে অশোভন আচরণ করতে থাকেন। এ সময় সেখানে নার্সিং ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত সেবিকা রেশমা আক্তার গেলে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন পিন্টু। পরে সিনিয়র স্টাফ নার্স রেহেনা বেগম গেলে তাকেও মারতে উদ্যত হন তিনি।

এ ঘটনায় জাকারিয়া আলম পিন্টুকে একমাত্র আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রেহেনা বেগম। মামলা দায়েরের পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানার এসআই মেফাউল হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জাকারিয়া আলম পিন্টুকে গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরেই ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে জাকারিয়া আলম পিন্টুর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, পিন্টু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে ।

Comments (0)
Add Comment