চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগে শিশু রোগী নিয়ে মায়েদের ভিড় : অনিশ্চয়তার পর দুপুরে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার: অসুস্থ শিশু সন্তানদের কোলে নিয়ে ঠাসাঠাসি ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে অস্থির অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছিলেন ২০-২৫ জন মা। এ দৃশ্য ছিলো গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে। কখন আসবেন চিকিৎসক, কখন দেখবেন অসুস্থ শিশু সন্তানকে, কখন ফিরবো বাড়ি? এসব প্রশ্নের যেনো কোনাই জবাব মিলছিলো না। অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুজ্জামান মালিক খোকনকে তার চেম্বারে প্রবেশ দেখে স্বস্তি পান অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা মায়েরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুজ্জামান মালিক খোকনের চেম্বারের সামনে শিশুদের নিয়ে অসংখ্য মায়ের অতো ভিড় কেনো? কেনোই বা অপেক্ষা? অসুস্থ শিশু সন্তান কোলে নিয়ে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষায় থাকা প্রায় সকল মা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, গ্রাম থেকে এসেছি। হাসপাতালের টিকিট নিয়েছি। প্রথমে ডাক্তার দেখানোর পর আমাদের সন্তানকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খোকনকে দেখানোর জন্য রেফার্ড করেন। এ জন্যই ১১৯ নম্বর কক্ষের সামনে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ডাক্তার কখন আসবেন, কখন দেখবেন তা জানি না। তখন সকাল ১০টা। এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি ছুটিতে নেই। হাসপাতালের অভ্যন্তরে রোগী দেখে বহির্বিভাগের রোগী দেখবেন। সিভিল সার্জন বলেন, সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের সকল চিকিৎসকেরই রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কথা। খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোনো অনিয়ম হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। দূর দূরান্ত থেকে আসা মায়েরা যাতে তাদের শিশু সন্তানদের সুচিকিৎসা নিয়ে সহজেই ভিড়তে পারেন তা নিশ্চিত করা আমাদের মানবিক দায়িত্বও বটে।
অবশ্য শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুজ্জামান মালিক খোকন ১২টার দিকে নিজ কক্ষে প্রবেশ করে ধৈর্য্যধরেই একে একে শিশু রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা দেন। বর্হিবিভাগের কক্ষে রোগী দেখতে দুপুর ১২টা কেনো জানার জন্য এ চিকিৎসকের নম্বরে ফোন করলেও তিনি তখন রিসিভ করেননি।

Comments (0)
Add Comment