জীবননগর ব্যুরো : জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ব্লক সুপারভাইজার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চেক জালিয়াতি মামলায় আদালত থেকে চার বছরের সাজা হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওবায়দুল নামের একজন বাদী হয়ে “চেক ডিজঅনার” মামলাটি (মামলা নং—৫৫৫/২৪) দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালত মোরশেদ বিল্লাহকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর তিনি গত ৩ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ফেরারী আসামি হিসেবে পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মোরশেদ আলী মনোহরপুর বাজারের তারেক নামের এক দোকানদারের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, খয়েরহুদা গ্রামের মামুনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা, মনা মাস্টার নামে পরিচিত মোশাররফ হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা, কৃষক মাহবুবের কাছ থেকে সার দেওয়ার নাম করে ৩ হাজার টাকা এবং ধোপাখালী গ্রামের মোমিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সুমনের কাছ থেকেও ৫ হাজার টাকা নেন বলে জানা গেছে। এমনকি উদ্দীপন ও আশা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন, মনোহরপুর গ্রামের ‘সমলয় কৃষি প্রকল্প’ থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোরশেদ বিল্লাহ বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে চেকের মামলা ছিল, সেটা প্রায় মীমাংসা হয়ে গেছে। কিছু টাকা দিয়েছি, বাদী গেলেই মামলাটা শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,মোরশেদের কোনো মামলায় সাজা হয়েছে কি না আমি জানি না। সে তিন দিনের ছুটি নিয়েছিল, এটুকুই জানি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন,এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের দাবি, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এমন গুরুতর অভিযোগ ও দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।