চুয়াডাঙ্গায় সাড়ে পাঁচশোর ভাড়া ৬৫০ : ১৩শ’ টাকার টিকিট ১৮শ’ টাকা

ঢাকায় ফেরার অগ্রিম টিকিটেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ৫শ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরা বাসযাত্রীদের কাছে অগ্রিম টিকিটে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা’র টিকিটপ্রতি যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি নেয়া হচ্ছে ১শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসমালিক ও তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর কথা বলে এসি বাসগুলোতে যাত্রীপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি হারে আদায় করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা নন-এসি চেয়ারকোচের ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। এছাড়া স্ক্যানিয়া হাইডেক (এইচডি) বাসের ১ হাজার ৩০০ টাকার ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। তবে বাসমালিকদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা পথে চলাচলকারী রয়েল এক্সপ্রেস বাসের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক দাবি করেন, চেয়ার কোচগুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সহনীয় হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে দাবি করে এনামুল হক বলেন, সর্বশেষ পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকার চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা পথে চেয়ারকোচের ভাড়া ঠিক করে দেয় ৬৬৮ টাকা। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া ৫৫০ টাকা নেয়া হলেও ঈদ সামনে রেখে ৬৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাসের ভাড়া খরচ বিবেচনায় মালিকেরা নির্ধারণ করেছেন। ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার অগ্রিম টিকিট বিক্রি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বেশির ভাগ পরিবহনেরই টিকিট বিক্রি শেষের পথে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পরবর্তী ১০ দিন বাড়তি হারে ভাড়া আদায় করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, হাটবোয়ালিয়া, কার্পাসডাঙ্গা, দর্শনা, জীবননগর এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে ছেড়ে আসা শতাধিক বাস প্রতিদিন ঢাকার পথে যাতায়াত করে। এসব বাসের মধ্যে রয়েল এক্সপ্রেসের রয়েছে অর্ধশতাধিক বাস। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স, পূর্বাশা পরিবহন, দর্শনা ডিলাক্স, জেআর পরিবহনের আরও অর্ধশতাধিক বাস চলাচল করে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব পরিবহনের কাউন্টারগুলো থেকে চেয়ারকোচের (নন-এসি) ভাড়া ৫৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে এসি বাসগুলোতে যাত্রীপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি হারে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ওয়ান-জে এসি বাসের টিকিট ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা, আরএম-টু এসি বাসের টিকিট ১ হাজার ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং স্ক্যানিয়া হাইডেক (এইচডি) বাসের টিকিট ১ হাজার ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দীন বলেন, ঈদের আগে-পরে কিছুটা বাড়তি ভাড়া আদায় হলেও বাসমালিকদের তেমন লাভ হয় না। তার দাবি, ঈদের আগে ঢাকা-চুয়াডাঙ্গার পথে যাত্রীর চাপ থাকলেও ঢাকার পথে প্রায় যাত্রীশূন্য অবস্থায় যেতে হয়। একইভাবে ঈদের পর চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যেতে যাত্রীর চাপ থাকলেও ঢাকা থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ফিরতে হয়। একমুখী যাত্রীর কারণে অনেক সময় খরচই ওঠে না। এ জন্য ভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে খরচের বিষয়টি সমন্বয় করে নেয়া হয়।

Comments (0)
Add Comment