স্টাফ রিপোর্টার: আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথের ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে-প্রার্থী হিসেবে এমন নেতাদের কথাই ভাবছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার বিএনপির চমক একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতা, যারা পরবর্তীতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল ও মূল দলে কাজ করছেনÑপ্রার্থীদের মধ্যে তাদের সংখ্যাই হবে বেশি। ছাত্রদল থেকে আসা প্রার্থী হিসেবে বিএনপির এই নেতৃত্বের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতারা। আরো রয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি-জিএস এবং বিভিন্ন মহানগরের সভাপতি-সম্পাদকরা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনেকেরই আগামী নির্বাচনের আসন মোটামুটি চূড়ান্ত হলেও বাকিরা মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা মনে করেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে দেশ গঠনে ছাত্রদল বা তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছে দল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ শাসনের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবারও তরুণদের প্রাধান্য দেবে দলটি। এবারের নির্বাচনে ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের মধ্যে শতাধিক নেতা বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যে ছাত্রদলের এসব নেতাকর্মী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। বিশেষ করে দলের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। এলাকায় তারা সমাজসেবামূলক কাজও করে যাচ্ছেন। ছাত্রদলের যেসব নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এবং অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। এর পরে রয়েছেন শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আমানুল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রকিবুল ইসলাম বকুল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাইফুল আলম নীরব, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মীর সরফত আলী সপু, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কামরুজ্জামান রতন, আশফাক হোসেন, রফিকুল আলম মজনু, মাহবুবুল হক নান্নু, মোতাহার হোসেন, এমএ মজিদ, হাসান জাফির তুহিন, মিজানুর রহমান মিজান, এমএ খালেক, ফরহাদ হোসেন আজাদ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আলিমুজ্জামান আলীম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, শিরিন সুলতানা, সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহানা আক্তার রানু, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আক্তার, নিলোফার চৌধুরী মনি, হায়দার আলী লেলিন, হাসান মামুন, মামুন হাসান, এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, এসএম জাহাঙ্গীর, হাবিবুর রহমান হাবিব, আকরাম হোসেন, নাসিমুল হাসান, আলিমুজ্জামান শিমুল, সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব, হারুন অর রশিদ, আব্দুল হামিদ, আনিসুর রহমান খোকন, ইসহাক সরকার, মোস্তফা খান সফরি, জাফর ইমাম, মিয়া নুরুদ্দিন অপু, আব্দুল মতিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব (শ্যামল), জয়ন্ত কু-ু, তরুণ কর্মকার, জি কে গউছ, শামীম তালুকদার, এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, সেলিমুজ্জামান সেলিম, রবিউল ইসলাম নয়ন।
এদিকে সাবেক নেতাদের মতো বর্তমান কমিটির ছাত্রনেতারাও আসন্ন নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন চাইবেন। এ তালিকায় রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া এবং সহসভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হিরা, রেজোয়ানুল হক সবুজ ও আবু সুফিয়ান। এবারের নির্বাচনে ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতিসহ সাবেক ১৫ সভাপতি মনোনয়ন চাইবেন। তারা প্রত্যেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে সবাই যার যার নির্বাচনি আসনে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনটির ১৯৮৫ থেকে ’৮৬ পর্যন্ত দুই বছর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন শামসুজ্জামান দুদু। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকেই ষষ্ঠ ও সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গ সরকারি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকেই ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন করার কারণে এইচএসসি পরীক্ষার কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হন তিনি। শামসুজ্জামান দুদু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ সেশনে অনার্স এবং ১৯৮১ সালে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিএনপির রাজনীতির সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্রদলকে সংঘটিত করতে রাজপথে নেমেছিলেন তিনি, সংগঠন গতিশীল করেছেন, জনামত পক্ষে টেনেছেন। মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার অর্জন করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের পথে লড়েছেন আপসহীনভাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশিত পথে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৫ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএনপি’র পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। এরাপর বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে কৃষকদলের আহবায়কের দায়িত্ব পান পরিচ্ছন্ন ইমেজের এই নেতা। দেশ সেরা বক্তা এবং জনপ্রিয় এই নেতা চুয়াডাঙ্গা থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অন্যতম। রাজনীতির কারণে তিনি ১৯৭৩ সালে প্রথম গ্রেফতার হন। ১৯৮২, ১৯৮৫, ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে কয়েক দফায় কারাবরণ করেন। ১৯৮৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তুমুল ভোট যুদ্ধে অল্প ভোটে পরাজিত হন কালজয়ী এই নেতা। ২০১৩ সালের মে মাসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে টানা ৬৫ দিন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থেকে বিএনপির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আরও এক দফা সাহসিকতার পরিচয় দেন আজীবন লড়াকু এই নেতা। ১৯৮৭-৯০ মেয়াদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বর্তমানে তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তিনি মুন্সীগঞ্জ-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ছিলেন আমানউল্লাহ আমান। তিনি ডাকসুর ভিপি ছিলেন। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের শীর্ষ নেতা ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। তিনি কয়েকবারের এমপি ছিলেন। এবারও প্রার্থী হচ্ছেন। ১৯৯২ সালের ১৬ মে প্রথমবারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে জয়ী হন রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। মাঠ কাঁপানো এই ছাত্রনেতা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভিপি। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ আসন কিংবা ঢাকা-১৩ আসন থেকে তার নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন ফজলুল হক মিলন। সাবেক এমপি ও বর্তমানে বিএনপির গাজীপুর জেলার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। গাজীপুর-৫ আসন থেকে তার নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। বর্তমানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি এবারও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে। মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ছাত্রনেতা মীর সরফত আলী সপু গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। হাবীব উন নবী খান সোহেল ২০০০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। ঢাকা-৯ (রমনা) আসনে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। খুলনা-৩ আসনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল প্রার্থী হবেন। তিনি ইতোমধ্যে ওই আসনে নির্বাচনি প্রচার শুরু হরেছেন।এ ছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। মাদারীপুর-২ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক ছাত্রদল নেত্রী হেলেন জেরিন খান। ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন তিনি। ২০০৩-০৪ সেশনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সভাপতি ছিলেন আজিজুল বারী হেলাল। তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। খুলনা-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বাগেরহাট থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। পরে তিনি যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে প্রার্থী হতে চান বলে জানা গেছে। ২০১২ থেকে ২০১৫-এর শুরু পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সাবেক ছাত্রনেতা এবার নরসিংদী-৪ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন রাজীব আহসান। আর একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আকরামুল হাসান। সাবেক এই দুই ছাত্রনেতার মধ্যে রাজীব আহসান বরিশাল-৪ এবং আকরামুল হাসান নরসিংদী-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার প্রত্যাশায় রয়েছেন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ফজলুর রহমান খোকন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন ইকবাল হোসেন শ্যামল। তারাও এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই দুই সাবেক ছাত্রনেতাও এবার নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে খোকন বগুড়া-৫ আর শ্যামল নরসিংদী-৫ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। একই কমিটির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নাওয়াজ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছাত্রদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ আর সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন সাইফ মাহমুদ জুয়েল। দুজনই আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ যশোর-৬ আর সাইফ মাহমুদ জুয়েল বরিশাল-২ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের নির্বাচিত ভিপি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব (শ্যামল)। ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ময়মনসিংহ-৫ আর নোয়াখালী-৪ আসন থেকে মনোয়ন চাইবেন সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। ইতোমধ্যে নাছির উদ্দিন নাছির নিজ সংসদীয় আসনে নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া বান্দরবন, সহসভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন সুনামগঞ্জ-১, মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হিরা কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক সবুজ বাগেরহাট-৪ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে যেভাবে দায়িত্ব দিয়েছে সেভাবে পালন করেছি। সে বিবেচনায় আগামীতে দেশ গঠনে আমরাও অংশীদার হতে চাই। সেজন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। তিনি আরও বলেন, এই আসন থেকে মানুষের ভালবাসায় একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছি। এই আসনের মানুষের ভালবাসা আমি ভুলতে পারবো না। আগামীতে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের ভালবাসায় পূনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জেলার উন্নয়ন ও মানুষের আশা আঙ্খার মূল্যায়ন করবো। জনমানুষের সমর্থন পেলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত চুয়াডাঙ্গাকে দেশের একটি মডেল জেলা হিসেবে উন্নতি করবো ইনশাল্লাহ।