দর্শনা থেকে চুরি যাওয়া সোনা-রূপোভর্তি সিন্দুক টাঙ্গাইলে উদ্ধার

খুলছে না সিন্দুকের লক : আনা হচ্ছে দর্শনায়

দর্শনা অফিস: দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের সৌখিন জুয়েলার্স থেকে চুরি যাওয়া সোনা-রূপো ভর্তি সিন্দুক পাওয়া গেলে টাঙ্গাইলের ভূয়াপুরে। চুরি ঘটনার এক দিনের মাথায় সিন্দুকের সন্ধান মিললেও ভেতরে কি আছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিন্দুকের লক খোলা সম্ভব হয়নি। সিন্দুক উদ্ধার করে আনা হচ্ছে দর্শনায়। গত সোমবার রাতে সংঘবদ্ধ চোরচক্র দর্শনার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাসস্ট্যান্ড-হল্টস্টেশন সড়কের মদন মার্কেটে সৌখিন জুয়েলার্সের সার্টার অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। চোরচক্রের সদস্যরা দোকানের প্রায় ৮ মণ ওজনের লোহার সিন্দুক পিকআপে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। জুয়েলার্সের মালিক সমরেশ পাত্র বিদ্যুতের ভাষ্যমতে, সিন্দুকে নগদ টাকার সঠিক হিসাব না থাকলেও ৮ ভরি সোনার গয়না ও ৬০ ভরি রূপো ছিলো। চুরি যাওয়া সোনা-রূপোর বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। দোকানের সামনে মিনি ট্রাক ভেড়ানোর চিহ্ন পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে চোরেরা পিকআপে করেই ভারি সিন্দুক নিয়েছিলো। এদিকে, দর্শনা পুলিশকে চুরি যাওয়া সোনা-রূপোর পরিমাণ আরো কম জানিয়েছেন বিদ্যুত। এ ঘটনায় বিদ্যুত থানায় কোনোপ্রকার মামলা দায়ের না করলেও দর্শনা পুলিশ চোরচক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে জাল বিস্তার করেছে বলে জানান ওসি মাহব্বুর রহমান কাজল। ফলে ঘটনার একদিনের মাথায় চুরি যাওয়া সিন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে টাঙ্গাইল থেকে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল জেলায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বথানা এলাকার ভূয়াপুর সড়কের ধারে ওই সিন্দুক পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে। পূর্ব থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিন্দুক উদ্ধার করেছে। খবর পেয়ে ওসি মাহব্বুর রহমান কাজল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান থানার এসআই সাইফুল ইসলামকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকৃত সিন্দুক নিয়ে দর্শনায় ফিরছিলো দর্শনা পুলিশ। তবে সিন্দুকের লক বিদ্যুতও খুলতে পারেননি। সিন্দুকের লক খোলা হলে পরিস্কার হওয়া যাবে আসলে সিন্দুকে থাকা সোনা-রূপো কি চুরি গেছে নাকী অক্ষত রয়েছে? কিংবা নেপথ্যে কোনো রহস্য আছে কিনা।

 

Comments (0)
Add Comment