‘নো হেলমেট নো বাইক, সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ দেশব্যাপী প্রচারাভিযানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই বন্ধু

স্টাফ রিপোর্টার:‘নো হেলমেট নো বাইক, সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা থেকে দেশব্যাপী সতেনতামূলক প্রচারাভিযানে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই বন্ধু।মোটরসাইকেল চালকের পাশাপাশি আরোহীকে হেলমেট পরার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাদের এই অভিযান।

ওই দুই বন্ধুর একজন দৈনিক প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শহরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম সনির বড় ছেলে মাহমুদ আল জান্নাত ওরফে আগুন ও আলোকদিয়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের ছেলে সজিব হাসান সাজ। আগুন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং সাজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র। করোনাকালীন ছুটিকে  ইতিবাচক কাজে লাগাতে তাঁরা নিয়েছেন ‘নো হেলমেট নো বাইক, সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি।

বুধবার সকাল সাতটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সংলগ্ন  কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে তাঁরা এই সচেতনতামূলক মোটরসাইকেল যাত্রা শুরু করেছেন। দেশব্যাপী সচেনতামূলক এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে মাহমুদ আল জান্নাত বলেন,‘সজিব হাসান আমার শৈশবকালীন বন্ধু। আমরা একই কিণ্ডারগার্টেন,স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেছি। মানসিকভাবেও এক। করোনাকালীন বাড়িতে টানা ছয়মাসেরও বেশি সময় বাড়িতে থাকায় একগেয়েমী পেয়ে বসেছিল।সর্বশেষ অক্টোবর মাসকেও সরকার ছুটি ঘোষণা করায় দুই বন্ধু ভালো কিছু করার জন্য আলোচনা করে এই প্রচারাভিযানে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। মাহমুদ বলেন,‘ আমাদের দেশে মোটর সাইকেলের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। একই ভাবে দুর্ঘটনার হারও বেড়ে চলেছে ।সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শুধুমাত্র হেলমেট ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের বেশিরভাগই হতাহত হচ্ছেন।অথচ, একটু সচেতন হলে তা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’

সজিব হাসানের ভাষ্য, সুরক্ষা সরঞ্জাম পরে ও ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানোর প্রবণতা ইদানিং দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়াতি অনেকেই হেলমেট ব্যবহার করছেন-এটা খুবই ভালো দিক।তারপরও মোটরসাইকেল চালকদের অনেকেই হেলমেট ব্যবহার করছেন না। আবার ,অনেক মোটরসাইকেল চালক নিজে হেলমেট ব্যবহার করলেও সহযাত্রীরা মাথায় হেলমেট দেখা যাচ্ছে না।বিশেষ করে শিশু সন্তানদের যে হেলমেট প্রয়োজন সে বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন বা অবজ্ঞা করছেন। সজিব বলেন,‘ হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই আমাদের দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইন।’

নিরাপদ সড়ক চাই চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আলমগীর হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই বন্ধুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুসারে হেলমেটের ব্যবহার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমাতে পারে  এবং মারাত্মক হতাহতের ঝুঁকি কমায় ৭০ শতাংশ। তাই, চালকের পাশাপাশি আরোহীদেরকে হেলমেট পরা জরুরি। বিশেষ করে শিশুদের হেলমেট ব্যবহারের বিষয়টি জোরালো নজরদারির মধ্যে আনতে হবে।’

Comments (0)
Add Comment