পিতা খুনের দুই সপ্তাহ পর মেহেরপুরে চিকিৎসাধীন পুত্রের মৃত্যু

মেহেরপুর অফিস: পিতার খুনীদের বিচার দেখা হলো না পুত্র নাহিদের। খুনের ঘটনার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুই ঘাতক আটক হলেও তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি হবে। পিতা ফারুক আহমেদ খুনের মাত্র ১৫ দিন পর পুত্র নাহিদ মারা গেলো। শুক্রবার ভোর ৩ টার দিকে নাহিদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
মেহেরপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আব্দুল্লাহ বাপ্পি জানান, মেহেরপুর শহরের থানাপাড়ার (উত্তর) বাসিন্দা শহর সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী ফারুক আহমেদের বড় ছেলে নাহিদ (১৩)। সে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। সে জন্ডিসে আক্রান্ত হলে গত মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৩ টার দিকে সে মারা যায়। গতকাল শুক্রবার বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে মেহেরপুর শেখপাড়া কবরস্থানে তার লাশ তার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তার লাশ মেহেরপুর শহরের নিজ বাড়িতে পৌঁছালে সেখানে মা, ছোট ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীদের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
উল্লেখ্য, গেলো ২২ অক্টোবর রাত ১১ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় খুন হন শহর সমাজ সেবা অফিসের মাঠকর্মী ফারুক আহমেদ। ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খানের নেতৃত্বে পুলিশ ঢাকা থেকে খুনের প্রধান আসামি একই পাড়ার ফারুক হোসেনকে আটক করে। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় এবং পুলিশ তার স্বীকারোক্তিতে অপর আসামি একই এলাকার দাউদ হোসেনকে আটক করে। এ সমস্ত কারণে অসুস্থ নাহিদ হোসেনকে চিকিৎসা দিতে দেরি হয়। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে রাজশাহী নিতে দেরী হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

Comments (0)
Add Comment