বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতার নামান্তর : সাক্ষী এলে সাক্ষী নেবেন

চুয়াডাঙ্গায় আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার: হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন ‘যার যার অবস্থান থেকে আমরা একজন বিচারক। একজন শিক্ষক মহাবিচারক। একজন শিক্ষক যখন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন না করে কম নম্বর দেন তখন কি উনি সুবিচারক।’ গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেছেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি তালিম হোসেনের সঞ্চালনায় জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, নারী ও শিশু দমন ট্র্যাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মুসরাত জেরিন এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান শিশির বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন, আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও আব্দুস সামাদ বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

প্রধান অতিথি বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতার নামান্তর। সাক্ষী এলে সাক্ষী নেবেন। বিচারকরা এলাকবাসীর জন্য। বৈকালের অধিবেশনে কোর্টে বসা হয় না। সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন বলেছেন, সকালে সাক্ষী, বিকেলে জামিন শুনানী। আমার নির্বাহী কোনো ক্ষমতা নেই। আমি দায়িত্ব বুঝে নিলাম। আমি প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্মাণে কথা বলবো। অস্বস্তিকর দুর্নীতি। একহাতে তালি বাজে না। আপনাদের পজিটিভ কিছু এলে আমরা উজ্জীবিত হয়। নেগেটিভ  হলে মাথা নীচু হয়ে যায়। আপনারা নীচের দিকে তাকান। সরকারি কর্মকর্তাদের সকাল ৮ থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস টাইম। পা ফাটা লোকদের ট্যাক্সের পয়সায় আমাদের বেতন হয়। আমাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেবেন। ২৬ হাজার মামলা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করবেন। আপনারা ভালো সাবমিশন করেন ভালো রায় হবে। না হলে ভালো রায় হয় না।

Comments (0)
Add Comment