মেহেরপুরের ভণ্ড ধুপগুরু চুয়াডাঙ্গায় বিপাকে

ভালাইপুর প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ার আকুন্দবাড়ী মেহেরপুরের ধুপগুরু নামের একজনকে পিটুনি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। ওই ধুপগুর আকুন্দবাড়ীর সরল সোজা গৃহবধু সহিদা খাতুনের ২৭ বছরের সংসারে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। আজ বুধবার (২৪ জুন) বিকেলে কথিত ওই ধুপগুরুকে আকুন্দবাড়ী গ্রামে ঘুরতে দেখে গ্রামবাসি পাকড়াও করে। নিয়ে যায় সহিদা খাতুনের বাড়ীতে। ধুপগুরুর দেয়া আংটি ফেরৎ দিয়ে সতর্কমূলক কিছু উত্তম মধ্যম দেয়া হয়। বলা হয়, এলাকায় যদি আবারও এলাকাবাসী দেখা পায় তা হলে পুলিশে দিতে বাধ্য হবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলুকদিয়া ইউনিয়নের আকুন্দবাড়ী গ্রামের হঠাৎপাড়ার মৃত. কাশেম আলীর ছেলে ছাত্তার আলীর দির্ঘ ২৭ বছর আগে বিয়ে হয় গ্রামেরই মেয়ে সহিদা খাতুনের সাথে, বিয়ের ২৭ বছরে কখন অমিল হয়নি দুজনের সংসারে। এদের দাম্পত্য সুখেরই ছিলো। গত কয়েক বছর আগে ছাত্তার আলী তার নিজের মামা দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের গনি মিয়ার হাতে হাতদিয়ে কাদরিয়া তরিকায় ভক্ত হন। সেই সুত্রে গত কয়েক মাস আগে পরিচয় হয় মেহেরপুর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের রুবেল পাগলা ওরফে ধুপ গুরুর সাথে। পরিচয়ের পর থেকেই ছাত্তার আলী স্ত্রীকে মা বলে ডাকে আর নিজের মাকে বউ বলে ডাকা সহ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে থাকেন।

এবিষয়ে ছাত্তার আলীর স্ত্রী সহিদা খাতুন ও শাশুড়ি বদরুননেছা অভিযোগ করে বলেন রুবেল পাগলা ওরফে ধুপ গুরুর সাথে গত কয়েক মাস আগে পরিচয় হওয়ার পর ধুপগুরু আমার ছেলেকে একটা আংটি দিয়ে বল তোকে কোটি টাকা দিলাম, আজকের পর থেকে তুই কটি প্রতি হয়েগেলি, তার কিছুদিন পর থেকেই এসব আজেবাজে কর্মকান্ড করতে থাকে। আরো অভিযোগ করে বলেন, বরজের পান বিক্রি ও মাঠের ফসল বিক্রির প্রায় ৭০ হাজার টাকা নষ্ট করেছে, ধুপগুরুর মত ভন্ডদের দিয়ে।

আকুন্দবাড়ী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ওহিদ, মৃত. হাবিবুর রহমানের ছেলে মুনজিল, মৃত. আজহার আলীর ছেলে মজিবর ও মৃত. হামজার ছেলে ঠান্ডু বলেন ২৭ বছরের সুখের সংসার ধুপগুরুর আংটির কারনে নষ্ট হতে চলেছে, জানতে পেরে মনেমনে গ্রামবাসির সবাই ধুপগুরুকে খুজতে থাকে। আজ বুধবার বিকাল ৩টার দিকে পেয়ে হালকায় উত্তম মাধ্যম দিয়ে আংটি ফেরৎ দিয়ে এই এলাকায় আর কখনও না আসার জন্য সতর্ক করে ছেড়েদেন।

এদিকে ছাত্তার আলী আংটি খুলে দিয়ে সব অপকর্ম ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে সংসার করবে বলে প্রতিজ্ঞা করে গ্রামবাসির এই রোশানল থেকে রেহায় পায়।

 

 

Comments (0)
Add Comment