শরীরে রক্ত দেয়ার সময় ধরাপড়লো ভুল : রক্ষা পেলো প্রাণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক রোগীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ভুল রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রোগীর শরীরে রক্ত পুশ করার সময় রক্তের ক্রস ম্যাচিং না হওয়ায় আবারও গ্রুপ নির্ণয় করা হলে রিপোর্টটি ভুল প্রমাণিত হয়। ভুল রিপোর্টের ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে। পরে গত শনিবার রোগীর শরীরে রক্ত দেয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রিপোর্টের ভুল ধরা পরে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে অসাবধানতা বশত ভুল গ্রুপের রক্ত শরীরে পুশ করা হলে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি ছিলো। গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করে বলেছে, টেকনিশিয়ানের অদক্ষতার কারণে রিপোর্টটি ভুল হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি শেখপাড়ার মৃত আনছার আলীর স্ত্রী আমেনা খাতুন অসুস্থতাবোধ করলে গত বৃহস্পতিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। চিকিৎসক তার রক্তের কয়েকটি পরীক্ষা করোনার পরামর্শ দেন। ওইদিনই আমেনাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে যান ছোট ছেলে খাইরুল ইসলাম। সেখানে আমেনা খাতুনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে জানা যায় রক্তের গ্রুপ ‘বি পজেটিভ’। রিপোর্ট দেখে আমেনার শরীরে এক ব্যাগ রক্ত দেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরদিন শুক্রবার রক্ত দেয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গার নারদিতা ক্লিনিকে নেয়া হয় আমেনাকে। তার সেজো ছেলে হাবিবুর রহমানেরও রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ হওয়ায় তার শরীর থেকে এক ব্যাগ রক্তও সংগ্রহ করা হয়। রক্ত পুশ করার আগ মুহূর্তে দুজনের রক্তের ক্রস ম্যাচিং না হওয়ায় এবার নারদিতা ক্লিনিকে আমেনা খাতুনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। রিপোর্টে জানা যায় গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের দেয়া রিপোর্টটি ভুল, আমেনা রক্তের গ্রুপ ‘ও পজেটিভ’। পরে আবার ‘ও পজেটিভ’ রক্তের ব্যবস্থা করে রোগীর শরীরে পুশ করা হয়।
রোগী আমেনা খাতুনের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, ভাগ্যক্রমে গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারের রিপোর্টটি বাড়িতে ফেলে এসেছিলাম। যার ফলে আবারও মায়ের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। তখন জানতে পারি রিপোর্ট ভুল। গ্রীন লাইফ মেডিকলে সেন্টারের আনারুল ইসলাম রিপোর্ট ভুলের কথা স্বীকার করে বলেছেন, অদক্ষ টেকনিশিয়ানের কারণে রিপোর্ট ভুল এসেছে। তবে ভবিষ্যতে যেনো এ ধরণের ভুল না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।

Comments (0)
Add Comment