হত্যাকারী নিহার রিছিলকে কারাগারে রেখেই বিচারকার্য শেষ করার দাবি

চট্টগ্রামে খুন হওয়া তন্ময়ের হত্যকারীর ফাঁসির দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামে বাবুর্চির ছুরিকাঘাতে নিহত এসএম মঈন উদ্দীন তন্ময়ের হত্যাকারীসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে নিহতের স্বজন, বন্ধু পরিজনসহ জেলার কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, সাহিত্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, নিহত তন্ময়ের পিতা এসএম কামাল উদ্দীন, চাচা অ্যাড. এসএম শরীফ উদ্দীন, ছোট ভাই এসএম আমিন উদ্দীনসহ শোকার্ত স্বজনরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গার ছেলে এসএম মঈনউদ্দীন তন্ময় অতি ভদ্র ও নিরীহ ছেলে হিসেবে তার নিজ এলাকা ও কর্মস্থলে পরিচিত ছিলো। তার নৃশংস এই হত্যার সাথে জড়িত নিহার রিছিলসহ অন্যদের দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করে ফাঁসি দিতে হবে। যেহেতু গ্রেফতারকৃত হত্যাকারী একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ, সেহেতু সে জামিন পেলে পালিয়ে যেতে পারে, এমনকি দেশ ত্যাগও করতে পারে। তাই তাকে কারাগারে রেখেই দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও নিহত তন্ময়ের একমাত্র সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে তার প্রতিষ্ঠান তিলোত্তমা বাংলা গ্রুপকে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের খুলশী থানার লালখান বাজারের চাঁনমারি সড়কের হাইপেরিয়ন ভবনের তৃতীয় তলায় বাবুর্চির ছুরিকাঘাতে নিহত হন এসএম মঈনউদ্দীন তন্ময়। নিহত মঈনউদ্দীন তন্ময় তিলোত্তমা বাংলা গ্রুপের চট্টগ্রাম শাখার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কোম্পানির অন্য কর্মকর্তাদের সাথে ওই বিল্ডিংয়েই থাকতেন তিনি। তাদের রান্নার জন্য কোম্পানি থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল নিহার রিছিলকে। ঘটনার পরই অভিযুক্ত বাবুর্চি নিহার রিছিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাবুর্চিকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment