গাংনীতে করোনায় ভাইয়ের পর বোন আক্রান্ত মেহেরপুরে ঢাকা ফেরত আরও আক্রান্ত একজন

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার নওয়াদাপাড়া গ্রামে ভাইয়ের পর এবার বোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট হাতে পান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তার বেশ কয়েকজদিন আগে নরসিংদি থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুর নোনারপাড়ায় ঢাকা ফেরত এক ব্যক্তির কোভিড-৯ পজেটিভ রিপোর্ট পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালে ১৩ জনে।
নোরাপাড়ায় ঢাকা ফেরত ওই ব্যক্তির আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর সিভিল সার্জন নাসির উদ্দীন বলেন, শনাক্ত ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে বেশ কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরলে হোমা কোয়ারিন্টিন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা ভালো তাই হোমা আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। তার ও আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তির পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, তিনি ঢাকায় থাই অ্যালুমিনিয়াম মিস্ত্রির কাজ করতেন। ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে ঘরেই অবস্থান করছিলেন। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিলো না। এখনো তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক।
এদিকে বুধবার গাংনী উপজেলায় নতুন করে আরও একজন করোনা শনাক্ত হন। এই প্রথম কোনো নারী করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আক্রান্ত নারীর ভাই নরসিংদি জেলায় বেসরকারি একটি কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি বাড়ি ফিরলে সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারিন্টিন) করে তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। ২৩ মে ওই ব্যক্তিসহ গাংনী উপজেলায় বাইরের জেলা থেকে ফেরা চার জন কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চারবাড়িসহ ২৮ বাড়ি লকডাউন করে। এ নিয়ে গাংনী উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে ৭জনে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাদিয়া আক্তার বলেন, নরসিংদি ফেরত ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ তার সংস্পর্শে আসা ২৫ জনের নমুনা গত ২৬ মে সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ওই ব্যক্তির বোনের কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকিদের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো আমাদের হাতে আসেনি।
এদিকে গাংনী উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৭ জনই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম বলেন, আক্রান্ত ভাই-বোন হোম আইসোলেশনে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গতকাল নোনারপাড়ার ওই ব্যক্তি আক্রান্ত শনাক্ত নিয়ে মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একজনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন এবং বাকি রোগীরা হোম আইসোলেশনে সুস্থ রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে জানা গেছে।

Comments (0)
Add Comment