চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে খুন করার পর বেশভুষা পাল্টে পালানো রিফাতের আত্মসমর্পণ : রিমাণ্ডে চায় পুলিশ 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রকাশ্য দিবালোকে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে আলমসাধু চালক তরিকুল ইসলাম হত্যার একমাত্র আসামি ঘাতক রিফাত আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। হত্যার ৫ দিনের মাথায় গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাতক রিফাত চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুপুরে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক। ঘাতক রিফাত হোসেন সদর উপজেলার কিরণগাছি গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে। গত বুধবার হত্যার ঘটনার পর মাথা ন্যাড়া এবং মুখে দাড়ি রেখে গাঢাকা দেয় রিফাত। বেশ পরিবর্তন করার পরও পালিয়ে থাকতে পারলেন না তিনি। অবশেষে তাকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাতক রিফাত আলী ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে পলাতক ছিলেন। হত্যার ঘটনার ৫ দিন পর রিফাত রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এসময় আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে রিফাতের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আব্দুল আলীম জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সরোজগঞ্জ বাজারে দোকানের পাশে আলমসাধু রাখা নিয়ে গৌতম স্টোরের আলমসাধু চালক সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারহদ গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও সাহা স্টোরের কর্মচারী একই উপজেলার কিরণগাছি গ্রামের রিফাত আলী বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রিফাত দোকানের মধ্যে থেকে বুঙ্গা (বস্তা ফুটো করে চাল বের করার যন্ত্র) নিয়ে এসে তরিকুলের তলপেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে তরিকুলের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিনই তরিকুলের পিতা মইন উদ্দিন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় রিফাত আলীকে (২৪) আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন হতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিলো। পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকার ফলে সে (রিফাত হোসেন) বাধ্য হয়ে গতকাল রোববার আদালতে অত্মসমর্পন করেন। রিফাতকে গতকাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অধিকরত তদন্তের জন্য রিফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

 

Comments (0)
Add Comment