নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষের বিভাজন দূর হোক

সম্পাদকীয়

দেশের রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থায় আরেকটি নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার সেই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলসহ দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বৈঠকে বসেছিলেন দেশের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। বৈঠকে তিনি সবাইকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, এটি নিয়ে নানা আলোচনা ও চিন্তা থাকলেও বর্তমান সংবিধানের আলোকে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজকের বৈঠকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের বলেছেন, ‘দল নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। এমন কাজ করা যাবে না, যাতে জনগণ মনে করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন।’ জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তাদের সার্বিক কর্মকা- ইসি পর্যবেক্ষণে রাখবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। আর সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।’ আসন্ন সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণার পর মাঠের খবর জানতে শনিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে সব ডিসি ও এসপিদের বৈঠকে ডেকে এই বার্তা দেন সিইসি। আর সেখানেই নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে এবং ইসির প্রতি আস্থা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভাজন কাটাতে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কয়েক দফা সংলাপ ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন মহলের সাথে। সামনে আরও সংলাপ ও বৈঠকের কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়গুলো একটি নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে বেশ কার্যকর বলে আমরা মনে করি। ইসির মতো আমাদেরও আশাবাদ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষের বিভাজন দূর হবে এবং সংশ্লিষ্ট সব দল-পক্ষ তাদের সদিচ্ছা ও ছাড় দেবার মনোভাব নিয়ে দেশের নির্বাচন ভিত্তিক গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেবে।

Comments (0)
Add Comment