আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়নে পাঁচটি পৃথক পথসভায় জনজোয়ার: জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান  ভোটাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তিই আগামী নির্বাচনের মূল বার্তা

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফের নির্বাচনী প্রচারণা এখন প্রতিটি গ্রামকে যেন এক একটি প্রতিবাদী মঞ্চে পরিণত করছে। গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নে দ্বিতীয় দিনের নিবিড় প্রচারণায় তিনি নান্দবার নিউমার্কেট এর সামনে থেকে পথসভার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর তিনি সাহেবনগর, শালিকা, মোচাইনগর ও নান্দবার গ্রামসহ মোট পাঁচটি পৃথক স্থানে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবং প্রতিটি গ্রামে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান। এই সময় প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষজন, বিশেষ করে কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষজন, তাঁদের নিত্যদিনের কষ্টের কথা আবেগভরে ব্যক্ত করেন। মো: শরীফুজ্জামান শরীফ মনযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শোনেন এবং এই বঞ্চনার অবসান ঘটানোর দৃঢ় অঙ্গীকার করেন। প্রতিটি পথসভায় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে, পরিবর্তনের জন্য মানুষ এখন ধানের শীষ প্রতীকের দিকে তাকিয়ে আছে।
পাঁচটি পৃথক পথসভায় মো: শরীফুজ্জামান শরীফ সাধারণ মানুষ এবং নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বিএনপির কর্মসূচী এবং তারেক রহমানের বার্তাকে সাবলীলভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার গাংনী ইউনিয়নের সংগ্রামী ভাই ও বোনেরা, গত দেড় দশক ধরে আপনারা যে কষ্ট, যে বঞ্চনা সহ্য করেছেন, আমি আপনাদের কাছে এসেছি সেই কষ্টের অবসান ঘটাতে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম নেই, আমাদের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা চাকরি পাচ্ছে না, আর জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এই মোচাইনগর ও সাহেবনগরের প্রতিটি পথসভায় আপনাদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে, আপনাদের মনে এখন একটাই আগুন—ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আগুন! আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই কারণেই আমাদের হাতে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা তুলে দিয়েছেন। এটি শুধু একটি প্রতিশ্রুতি নয়, এটা আপনাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির গ্যারান্টি। ৩১ দফায় আমরা ওয়াদা করেছি—কৃষকের ভর্তুকি নিশ্চিত করা হবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা হবে এবং দলীয়করণ বন্ধ করা হবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ গুটিকয়েক মানুষের পকেটে যাবে না, বরং তা আপনাদের কল্যাণে ব্যয় হবে।’
মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘আপনারা বিশ্বাস রাখুন—আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনাদের এই কষ্ট কোনো দিন বৃথা যাবে না। আপনারা এইবার শুধু একটি কাজ করুন—আপনাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে ধানের শীষকে বিজয়ী করে আনুন। আপনাদের একজন সেবক হিসেবে আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকব। ইনশাআল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আমাদের বিজয় হবেই।’

গণসংযোগকালে মো: শরীফুজ্জামান শরীফের সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, চুয়াডাঙ্গা জেলা সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বিপ্লব, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম হাসান টুটুল, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান রেজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, সহ-সভাপতি মাবিয়া ইসলাম, সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আইনাল, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের সদস্য হাসান উদ্দিন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদ এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সবুজ সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।