আলমডাঙ্গা ব্যুরো:একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিত, সাবেক মেয়র প্রার্থী—এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৩৪০ (তিনশত চল্লিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সামগ্রীসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে পারকুলা আবাসন প্রকল্প এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান, পিপিএম-এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) আব্দুল মতিন, পাইকপাড়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ও সঙ্গীয় ফোর্স।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পারকুলা আবাসন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এরা হলেন —
সাদেকুর রহমান পলাশ (৩৮) ও লালন শেখ (২৭)। এরা উভয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের যথাক্রমে
মৃত জামাল উদ্দিন ও বিশারত আলীর ছেলে।
এ সময় তাদের নিকট থেকে জব্দ করা হয়— ৩৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, লাল-কালো রঙের পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল, একটি হেলমেট, একটি লেনোভো ল্যাপটপ, একটি স্যামসাং এ৬ প্লাস স্মার্টফোন, একটি সিম্ফনি বাটন ফোন ও একটি কালো স্কুলব্যাগ।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানে আলমডাঙ্গা থানা বরাবরই কঠোর অবস্থানে। সমাজের মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি হোক বা সাধারণ মানুষ—মাদকের সঙ্গে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।”
তবে গ্রেফতার হওয়া সাদেকুর রহমান পলাশকে ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী এই তরুণ একসময় পৌর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের সন্তান পলাশ ৫ আগস্টের পর থেকে চাকরির কারণে পাবনায় অবস্থান করছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, সুদর্শন ও মিশুক স্বভাবের এই যুবককে কেউই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ভাবতে পারেননি। হঠাৎ ইয়াবাসহ গ্রেফতারের খবরে অনেকে বিস্মিত ও হতবাক।
একজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, “যে তরুণ একসময় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখত, সে যদি ইয়াবা ব্যবসার অন্ধকারে জড়ায়—তবে এটি শুধু একটি পরিবারের নয়, সমাজেরও ক্ষতি।”
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সালের ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৩৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।