করোনা উপসর্গে আরও ১৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে দেশের ৯ জেলায় গৃহবধূসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চাঁদপুরে ৫ জন, বরিশালে যুবক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরবে বৃদ্ধ, হবিগঞ্জে গৃহবধূ, পটুয়াখালীতে গাড়িচালক, কুমিল্লায় পান ব্যবসায়ী, গাজীপুরে অজ্ঞাত এবং নেত্রকোনায় এক কৃষক মারা গেছেন।
চাঁদপুর : চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১২ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন চাঁদপুর সদর উপজেলার বড় সুন্দর গ্রামে, অন্যজন হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ গ্রামে। অপরজন মতলব দক্ষিণে, ঢাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে হাজীগঞ্জের এক কলেজ ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার মারা গেছে। এছাড়া হাজীগঞ্জের বড়কুল ইউনিয়নে করোনা উপসর্গে এক ব্যক্তি মারা গেছে। হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল সর্দার শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যান। তিনি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তার করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগ থেকেই তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
অপরদিকে চাঁদপুর সদরে মাহবুবুল হক (৬০) নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তিনি উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বড় সুন্দর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে তার স্যাম্পল নেয়া হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে। মৃত মাহবুবুল হকের করোনার লক্ষণ ছিলো। অনেক দিন যাবত বাড়িতেই তিনি অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া আগে থেকেই তিনি অ্যাজমার রোগী ছিলেন।
এদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আব্দুল কুদ্দুছ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে মারা যান। রাতেই তাকে দাফন করা হয়। অপরদিকে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের মিথিলা আক্তার (১৮) নামের এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সে একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের পড়াশুনা করতো। এর আগে স্কয়ার হাসপাতালে তার করোনা শনাক্ত হয়। মিথিলা লিভার রোগে আক্রান্ত ছিলো। এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামে দুলাল মিয়াজী (৫২) নামের এক ব্যক্তি শুক্রবার সকালে মারা যায়। তার মধ্যে করোনা উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ছিলো। তার পিতার নাম জহিরুল ইসলাম মিয়াজী।
বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি এলাকার দেলোয়ার হোসেন (৪৫) গত ৪ জুন বেলা পৌনে ১টায় বরিশাল শের-ই -বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। যিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকার আ. খালেক খান ৪ জুন বেলা সোয়া ১১টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ওই গ্রামের চারটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে বিশেষ ব্যবস্থায় তার লাশ দাফন করা হয়েছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের ওই ব্যক্তি গত কয়েক দিন ধরে করোনার উপসর্গজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতেই তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, বিশেষ ব্যবস্থায় ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের পর মৃতের পরিবারসহ চারটি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে।
কিশোরগঞ্জ: জেলার ভৈরব উপজেলায় জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে এক বৃদ্ধ (৭০) মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে গত বুধবার তার নমুনা নেয়া হয়। নমুনা পরীক্ষার ফল এখনো আসেনি।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, মারা যাওয়া বৃদ্ধ এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন। গত বুধবার পরীক্ষার জন্য তার নমুনা দেয়া হয়। তবে পরীক্ষার ফল এখনো আসেনি। অবস্থার অবনতি হলে বৃদ্ধকে কিশোরগঞ্জ জেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে ভৈরবে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত লোকজনের বেশির ভাগ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। সমস্যা হলো শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সময় বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সময়ের ব্যবধানে মানুষ মারা যাচ্ছে। সুতরাং আক্রান্ত রোগীদের এই দিকটি খেয়াল রেখে চিকিৎসার জন্য স্থান নির্বাচন করা প্রয়োজন।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসী গ্রামে রুবি দাশ (৩০) নামের এক গৃহবধূ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের নিহত গৃহবধূর স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ওষুধের ব্যবসা করে আসছেন। গত কয়েক দিন থেকে ওই গৃহবধূ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গত বুধবার গভীর রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া গৃহবধূর পৈতৃক বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, মহিলার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত সৎকারে যাওয়া সব সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : জেলার মির্জাগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মো. মজিবর রহমান (৪৬) নামে এক গাড়িচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতপুর গ্রামের মৃত আজাহার আকনের ছেলে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইসয়াসমিন লিজা জানান, গাড়িচালক মো. মজিবর রহমান গত বুধবার জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে স্ত্রী ও মেয়েসহ গ্রামের বাড়ি উপজেলার কিসমতপুরে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্বাসকষ্টে তিনি বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল শুক্রবার কোভিড প্রোটকলে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত ব্যক্তি ও তার স্ত্রী এবং মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়।
তিতাস (কুমিল্লা) : কুমিল্লার তিতাসের করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় উপজেলার দক্ষিণ নারান্দিয়া পশ্চিমপাড় গ্রামের মো. কালা মিয়ার ছেলে স্থানীয় পান ব্যবসায়ী মো. সেলিম (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ দিন যাবৎ সে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তার করোনা রোগের নমুনা সংগ্রহ করেছে। একই দিন বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
গাজীপুর : গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তার বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর মাঝিবাড়ি এলাকায়। হাসপাতালের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান জানান, ২ মে রাতে তিনি করোনা উপসর্গ (ঠান্ডা, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর) নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন নমুনা সংগ্রহ করে ওই দিনই পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তার ফল হাতে পৌঁছেনি।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর। তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন কলেজশিক্ষক। তার বাড়ি পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে। ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পারিবারিক সূত্র জানায়, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বর, হাঁচি-কাশিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দুপুরে তাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টায় হাসপাতালে তিনি মারা যান।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (পরিচালক) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে জ্বর, হাঁচি-কাশিতে ভুগছিলেন। পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের পরামর্শে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলাকালে তিনি মারা যান। যেহেতু ওই ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন, তাই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে এক কৃষকের (৫৮) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় হাসপাতালে তিনি মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই কৃষকের মৃত্যুর পর সঙ্গে থাকা স্ত্রী আতঙ্কে লাশ রেখে বাড়িতে চলে যান। পরে শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় স্বজনেরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই কৃষককে দাফন করা হয়েছে। ওই কৃষক কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা জানতে মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মারা যাওয়া ওই কৃষকের বাড়ি আটপাড়া উপজেলায়।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই কৃষক বেশ কিছু দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সঙ্গে দুদিন ধরে তার হালকা জ্বর ও পাতলা পায়খানা ছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তার স্ত্রী তাকে নিয়ে পাশের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যান। চিকিৎসকের পরামর্শে ওই সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় তাকে সেখানেই রাখা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী ভীত হয়ে পড়েন। তিনি দিশেহারা হয়ে লাশ হাসপাতালে রেখে বাড়ি ফিরে যান। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় স্বজনেরা এসে নিয়ম মেনে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান এবং দাফন করেন।

Comments (0)
Add Comment