করোনা জয় করলেন জজ মাহমুদুল হক

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সাবেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হক। তিনি রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সাবেক-আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) এর চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বুধবার তিনি চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন।
জানা গেছে, গত ২১ জুন তীব্র শ্বাসকষ্ট ও জটিল অবস্থায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড সেন্টারে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিষ্ট ডা. মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, ডা. মেহেদী হাসান এবং বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
করোন যদ্ধে জয়ী হয়ে জজ এবিএম মাহমুদুল হক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাট্যাস দেন যা হুবহু তুলে ধরা হলো (দীর্ঘ ১০ দিন হাসপাতালে আর মোট ২১ দিনের যুদ্ধ শেষে কাল ২য় স্যম্পল নেগেটিভ আসায় আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছি। অনেকেই অল্পতেই সুস্থ হয়েছেন আবার অনেকে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। প্রথম যখন লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় তখন ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক করোনা উপসর্গের সব রকম চিকিৎসা নিই কিন্তু কাশি ভালো হচ্ছিলো না। যুদ্ধ চলছিলো আমার এন্টিবডি আর লাখ কোটি করোনা ভাইরাস জীবাণুর সাথে। তারপর থেকে শুরু হলো শ্বাসকষ্ট। মহান আল্লাহতালার রহমতে আর মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়, সচিব মহোদয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মহোদয়, ভোলা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মহোদয়, শ্রদ্ধেয় বিকাশ স্যারসহ বিচার বিভাগীয় অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মহোদয়সহ ভোলার সম্মানিত ডিসি, সিভিল সার্জন সিজেএম সানাউল্লাহসহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আনা সম্ভব হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। ঢাকা ইউনিভার্সাল হাসপাতালে আইসিইউতে ৭ দিন ও কেবিনে ৩ দিন তারা যে সেবা আমাকে দিয়েছে তা অতুলনীয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার এ সংকটাপন্ন মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিগণ, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, কর্মচারী, আমার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে আমার রোগমুক্তির জন্য সর্বদা দোয়া করেছেন। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ ঋণ কখনো শোধ হবে না। আমি অবনত মস্তকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।)

Comments (0)
Add Comment