খুলনায় ৭ বছরপর আবারও তাপমাত্রা ৪০ এর উপর : যশোরে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রোববার। সাম্প্রতিক রেকর্ড ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে আজ রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। আজ এটি এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনায় গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। রোববার খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, খুলনায় রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৭ বছরে খুলনার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে ওঠেনি। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, তাপ প্রবাহের কারণে প্রচণ্ড গরমে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আপাতত ২/৩ দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। যশোরে  রোববার ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় এটি চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় আবহাওয়া দপ্তর। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যশোরে একই রকম তাপমাত্রা থাকার কথা রয়েছে। যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া বিভাগ এসব তথ্য জানায়। আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে যশোরে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। তীব্র দাবদাহের কারণে যশোরে পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। এ কারণে যশোর শহরের ৯০ শতাংশ হস্তচালিত নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। গভীর নলকূপেও পানি কম পাওয়া যাচ্ছে। ফলে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু মানুষ নয়, গোটা প্রাণীকূল যেন দাবদাহে পুড়ছে। এদিকে ফসলের মাঠে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। কৃষকেরা সকাল থেকে তীব্র রোদে সারা দিন মাঠে ধান কেটে মাড়াই-ঝাড়াইয়ের কাজ করছেন। প্রচণ্ড গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও অনেকটা একই রকম। শনিবার ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রোববার রোদের প্রখরতা বেশি।

Comments (0)
Add Comment