গাংনীতে জামায়াতের রুকন বৈঠক অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় প্রসঙ্গে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দীন খান বলেছেন, ‘যারা মিথ্যা মামলা ও তথ্য উপস্থাপন করে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়েছে সেইসব বিচারকদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটিএম আজাহারকে মুক্ত করেই প্রমাণ করা হবে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা যে তাদের ভূঁয়া মামলা ছিল প্রমাণ করেই জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের মুক্ত করা হবে। গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গাংনী উপজেলা শাখার সদস্যদের (রুকন) শিক্ষা বৈঠক ২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকালে ৭ টার সময় গাংনীর দারুল ইয়াতিমখানার হলরুমে এই শিক্ষা বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর গাংনী উপজেলা শাখার আমির মো. রবিউল ইসলাম শিক্ষা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য মাওলানা তাজ উদ্দীন খান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা আর অন্যদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মামলা ও বিচারের রায় এক নয়। অন্যান্য দলের নেতাদের নামে দায়ের করা মামলাগুলো ছিল সিভিল কোর্টের। আর জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মামলাগুলো ট্রাইব্যুনালের। সিভিল কোর্টের মামলা যখন, তখন অ্যাপিল ও শেষ করে দেওয়া যায়। আর ট্রাইব্যুনালে যে পথ দিয়ে মামলা করতে হয় সেই পথ দিয়েই এর বিচার ও রায় পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু ধর্মের কিছু নেতাদের জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে যোগদান নিয়ে বির্তকিত ও সমালোচনারও জবাব দেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মের লোকজনকে যখন ডাকবো, তখন হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন স্তুরে যেসব নেতাকর্মী আছেন তাদেরই তো ডাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ঢাকেস্বরী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদককেই ডাকতে হবে। সেই নেতা যদি র’ এর লোক হয়, তাকে রাস্ট্র দেখবে। গোয়েন্দা বিভাগ, সেনাবাহিনী, বিজিবি বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেখবে। সে আছে কিভাবে এই দেশে প্রশ্ন করেন তিনি? তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মের ওই নেতা আমাদের প্রোগ্রামে একদিন মাত্র বক্তব্য দিয়েছে। সে কারণে একদিনেই জামায়াতে ইসলামী ভারতপ্রেমী হয়ে গেলো? প্রতিবেশী পাল্টানো যায়না উল্লেখ করেতাজ উদ্দীন খান বলেন, ভারতের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর সুস্পষ্ট বক্তব্য, তাদের সাথে জামায়াত বন্ধুত্ব চাই, তবে, সেটা হতে হতে হবে সমতা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থীরা মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ঠিকমত কাজ করতে না পারলে হাত মিলানো পর্যন্তই থাকবে। ফলাফল বাড়ি আসবেনা। তিনি বলেন, ভোটের হিসাব করলে জামায়াত এখনো অনেক পেছনে আছে। তাই এখনি মানুষজনকে সহযোগী ফরম পূরণ করে নিতে হবে। পরিবেশ, পরিস্থিতি আবহাওয়া এখন জামায়াতের পক্ষে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুযোগকে কাজে লাগাতে নেতাকর্মীদের এখন থেকেই সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌছাতে হবে। হাত গুটিয়ে বসে থাকার সময় আর নেই। শতভাগ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনি মাঠকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। গাংনী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইকবাল হোসাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, সূরা সদস্য মাওলানা আব্দুল মজিদ, মেহেরপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য নাজমুল হুদা, গাংনী পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর আহসানুল হক, গাংনী উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম প্রমুখ। শিক্ষা বৈঠকে, ইসলামী আন্দোলনের সাফল্যের শর্তাবলি, রুকুনিয়াতের মান, ইকামতে দ্বীনের গুরুত্ব ও সামনের জাতীয় সংসদ সদস্য নিয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আলোচনা করা হয়। সকাল ৭ টার সময় শিক্ষা বৈঠক শুরু হয়ে