সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে জনপ্রিয় বলিউড ও আসামি গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে। ৫২ বছর বয়সি শিল্পীকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ফেস্টিভ্যালে ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর পারফর্ম করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুবিন স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং সেখানেই তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে সেখানেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
তবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, জুবিন গার্গের মৃত্যু স্কুবা ডাইভিং নয়, সমুদ্রে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সাঁতার কাটার সময় ঘটেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জুবিন লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সাঁতার কাটছিলেন। সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ সেই সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তিনি আরও জানান, একটি ভিডিওতে দেখা গেছে জুবিন প্রথমবারের জন্য লাইফ জ্যাকেট পরে ইয়ট থেকে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন, কিন্তু দ্বিতীয়বার ঝাঁপ দেওয়ার সময় লাইফ জ্যাকেটটি খুলে দেন। এরপর তিনি সমুদ্রে ভেসে থাকেন এবং অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের আয়োজকরা জানিয়েছেন, জুবিনের ইয়ট সফরের কোনো তথ্য তাদের কাছে আগে ছিল না। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের প্রিয় শিল্পী জুবিন গার্গ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। আমরা এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। এই ট্রাজেডির কারণে অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
জুবিন গার্গ ছিলেন আসামের অন্যতম সাংস্কৃতিক আইকন। তিনি আসাম, বাংলা ও হিন্দি গানগুলোতে কাজ করেছেন। বলিউডে তিনি ‘গ্যাংস্টার’ চলচ্চিত্রের ‘ইয়া আলি’ গানের মাধ্যমে পরিচিতি পান। এছাড়া ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘মিশন চায়না’ ও ‘দিনবন্ধু’-এর মতো আসাম চলচ্চিত্রেও তিনি গায়ক, অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।