দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের সেবা ফার্মাস হাব থেকে ফুলকপির চারা কিনে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত সোমবার এ বিষয়ে ৭জন ভুক্তভোগী কৃষক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলেছেন, তদন্ত শেষ হয়েছে ;প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
লিখিত অভিযোগে ও ভুক্তভোগী সূত্র বলছে, চলতি রবি মৌসুমে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর ও নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের ৭জন কৃষক বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের কাছ থেকে নিনজা জাতের ফুলকপির চারা কিনে সাড়ে ১০বিঘা জমিতে রোপন করে। চারা বিক্রেতা নিনজা জাত বলে অন্য জাতের চারা দিয়ে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করেছেন। এতে করে ভুক্তভোগী কৃষকদের সাড়ে ৪ থেকে ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।
ভুক্তভোগী কৃষক জাব্বারুল ইসলাম বলেন, বিষ্ণুপর গ্রামের মহি উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে আমরা নিনজা জাত বলে ফুলকপি চারা কিনে রোপন করি। পরে জানতে পারি সে আমাদের সাথে প্রতারণা করে অন্য জাতের চারা দিয়েছে। বিষয়টি তাকে ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানানো হলে সে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মতি জানান। এর কয়েক দিন পর সে আমাদের কে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে বলে উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে যাও, কৃষি অফিসার যে ভাবে মিমাংসা করে দেবে তাই মেনে নেবো।
অভিযুক্ত সেবা ফার্মাস হাব পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, আমার হাব থেকে তারা ফুলকপির চারা ক্রয় করে। ছেলেপুলে ভুল করে তাদের কে নিনজা জাত সহ অন্য জাতের চারা দিয়ে দেয়। বিষয়টি কৃষকরা আমাকে জানানোর পর আমি তাদের ক্ষেত পরিদর্শন করি। এসময় তারা জোর করে আমার কাছ থেকে স্টাম্প করে নেন।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে সরজমিন তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র বলেন, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ কে।