দামুড়হুদার বড়বলদিয়ায় ঘাসমারা বিষ দিয়ে ধানের চারা পুডিয়ে দিয়েছে দুর্বাত্তরা

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বড়ববলদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বিষধর মাঠে ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে একই গ্রামের কবরস্থান পাড়ার শহীদুল ও হাসান মোল্লা ২ কাটা (আমন মৌসুমের) লাল স্বর্ণ ধানের চারা পুড়িয়ে দেয়। বৃদ্ধা জায়েদা জমিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সরেজমিনে, জমিতে গিয়ে দেখা যায় ২ কাটা জমির ধানের চারা ঘাসমারা বিষ দিয়ে স্প্রে করে চারা পুড়িয়ে দেয়। এই ধানের চারা দিয়ে প্রায় ৪ বিঘা জমির ধান লাগাতো। এ ঘটনাটি ঘটেছে দামুড়হুদার বড়বলদিয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বিষধর মাঠে।
ক্ষেতের ধানের চারা পুড়িয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী কৃষক দেলোয়ার ও অসহায় তার মা জায়েদা খাতুন। ঘটনা উল্লেখ করে ওই বৃদ্ধা দামুড়হুদা উপজেলা ভুমি অফিসে অভিযোগ দেবে বলেন জানান। বিষয়টি তিনি উপজেলা কৃষি অফিসকে অবগত করবেন।
গত সোমবার যেকোন এক সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে। সকালে মাঠে গিয়ে ওই বৃদ্ধার ছেলে কৃষক দেখতে পান তার ক্ষেতের ধানের চারা গাছ পুড়ে লালচে হয়ে গেছে।
এবিষয়ে জমির মালিক জায়েদা খাতুন বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে ক্ষেতের ধানের চারা শেষ করে দিয়েছে। কারা করতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একই গ্রামের আমার চাচাতো ভাই শহিদুল ও হাসান মোল্লা। এসময় জায়েদা জমিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কাঁদতে কাঁদতে বলেন আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আমি এখন ৪ বিঘা জমির ধানের চারা কে দিবে কোথায় পাবো। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে শহিদুল মোল্লা বলেন, আমি কেন করবো। আমি ঐ দিন বাড়ি ছিলাম না। কুড়ুলগাছিতে মানুষ মাটি দিতে এসে ছিলাম। আমি কিছুই জানানি। তবে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন একটা জটিলতা আছে।।
এদিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আগামীকাল সরেজমিনে যাবো এবং দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো কি করা যায়।