দামুড়হুদায় বিএনপির ৯১ জন কর্মী সমর্থক জামায়াতে যোগদান;জামায়াতের এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

দামুড়হুদা প্রতিনিধিঃ দামুড়হুদায় বিএনপির ৯১ জন কর্মী সমর্থক জামায়াতে যোগদান, এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত (২৪ অক্টোবর) শুক্রবার কিছু অনলাইন ও পরদিন শনিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে “চুয়াডাঙ্গার কাদিপুর গ্রামে বিএনপি নেতা নজির আহমেদ ও নূর ইসলামের নেতৃত্বে ৯১ জনের জামায়াতে যোগদান” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন।

লিখত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, উল্লিখিত ব্যক্তিরা প্রকৃতপক্ষে জামায়েতের নেতা, কর্মী ও সমর্থক এবং তাদেরকে দিয়েই একটা যোগদান নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর মধ্যে বিএনপি’র
৯ জনের নাম ব্যবহার করা হযেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সক্রিয় সদস্য এবং দলের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামোতেও তারা দায়িত্বশীল ভূমিকায় রয়েছে। দলীয় নীতি ও আদর্শের সঙ্গে তারা সঙ্গতিপূর্ণ বা সক্রিয় রয়েছেন। বিএনপি’র তারা কেউই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জাতীয়তাবাদী আদর্শ, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে কোনো প্রকৃত নেতা-কর্মী বিচ্যুত হতে পারেন না। তবে যদি কেউ মনে করেন আমি আমার নীতি বা আদর্শ পরিবর্তন করব তাহলে তিনি করতে পারেন, কোন বাধা নেই। জামায়াতের লোক দিয়ে একটা যোগদান নাটক মঞ্চস্ত করিয়ে বিএনপি ও নির্দলীয সাধারণ মানুষের নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে জামায়াতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিএনপিকে বিভ্রান্ত ও দুর্বল করার চেষ্টা করছে যা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান করছি।

আমরা সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো প্রকার বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য।

এছাড়া, উপজেলা বিএনপি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, দামুড়হুদা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও গতিশীল। জনগণ আজ পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল তাদের একজন বাদে সবাই উপস্থিত ছিলেন এবং তারা দাবি করেন তারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তারা কেউই বিএনপি থেকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে নাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসার আবুল হাসেম, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সহসভাপতি মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

প্রকাশিত সংবাদে বিএনপির যে ৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে ৮ জন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং অসুস্থতার জন্য ১ জন উপস্থিত হতে পারেননি। উপস্থিত ৮ জন হলেন সোহরাব হোসেন, মমিন, খাজা, বাদশা, বখতিয়ার, মাহাতাব, কদর ও আশা মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে এ ৮ জনের সকলে বলেন, আমরা সারা জীবন বিএনপি করে আসছি এখনো বিএনপিতেই আছি। আমরা কেউ জামাতে যোগদান করিনি। জামাত আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।।