দ্রুত ধর্ম অবমাননার বিষয়ে কঠোর আইন তৈরির দাবি আহমাদুল্লাহর

স্টাফ রিপোর্টার:কুরআন অবমাননার অভিযোগে অপূর্ব পাল নামে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে তাকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ধর্ম অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ অভিযুক্ত অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী বলে দাবি করছেন। এমন দাবির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।

রোববার (৫ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সব অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।’
তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্বেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে! তা ছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না উল্লেখ করে আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ইতোপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ কোরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এমন কুলাঙ্গার ছাত্রকে প্রশ্রয় দেওয়ার অপরাধে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আঙুল তুলে এই প্রখ্যাত আলেম বলেন, ‘এদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায় না। অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উসকানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

‘পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি, অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে’-যোগ করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।