স্টাফ রিপোর্টার:দেশের নারী ফুটবলাররা অবহেলিত। একের পর এক সাফল্য এনে দিলেও তাদের কদর নেই। খোদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনই (বাফুফে) তাদের ঠিকঠাক যত্ন নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সেসব অভিযোগ নিজের মতো করে খণ্ডন করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
খেলোয়াড়দের খাবার নিয়ে নানান সময়ে নেতিবাচক কথা শোনা যায়। মান নিয়েও থাকে প্রশ্ন। এ নিয়ে কিরণের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হবো না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেওয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। অনেকেই বলেন যে আমরা এখানে পাঙাস মাছ খাওয়াই। আমরা একদিনও পাঙ্গাস মাছ খাওয়াই না। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেওয়া হয়।’
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলার সময় লাওসের হোটেলে নাকি মেয়েরা ঠিকমতো খেতে পারেনি। এ বিষয়ে কিরণ বলেছেন, ‘একেকটা দেশের খাবার একেকরকম। লাওসের খাবার তো মেয়েরা খেতে পারে না। বাঙালি খাবার খেতে না পারার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এজন্য আমি বাঙালি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম।’
এদিকে জাতীয় নারী দলের এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়া এবং অনূর্ধ্ব-২০ দলের সাফল্যকে ‘পাইপলাইন স্ট্রং’ থাকার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘এখান থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয় আমাদের পাইপলাইন অনেক স্ট্রং। যে কারণে যে বছর সিনিয়র টিম কোয়ালিফাই করলো, একই বছর বয়সভিত্তিক টিমও কোয়ালিফাই করলো। এতে বুঝতে হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’
এশিয়ান কাপের জন্য মেয়েদের জাপানে অনুশীলন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিরণ, ‘আমরা ১৩ তারিখ তাবিথ আউয়ালের (বাফুফে সভাপতি) সঙ্গে বসব। দুটো দলের জন্য প্র্যাকটিস ম্যাচ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করব। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এফোর্ট দিতে হবে। জাপান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আজ আমি আবার মেইল করেছি। আমরা সিনিয়র জুনিয়র দুই দলকে নিয়ে একসঙ্গে ক্যাম্প করতে চাচ্ছি।