মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আরেকজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
আটককৃতরা হলেন—রাজাপুর গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম এবং জুমাত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম। পলাতক অভিযুক্ত হলেন নজরুল ইসলামের ছেলে মিনারুল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আটক দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী প্রেমিকের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যার পর রাজাপুর গ্রামের মাঠের রাস্তায় তিন যুবক তাদের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
একপর্যায়ে প্রেমিকের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে ইউপি সদস্য চঞ্চলের ভাটার পেছনের আমবাগানে নিয়ে যায় তারা। সেখানে প্রেমিকের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে দু’জনকে বিবস্ত্র করে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
পরিস্থিতির চাপে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে তাদের হাতে রেখে টাকা আনার জন্য মেহেরপুর শহরের দিকে চলে যান। টাকা নিয়ে ফিরে এসে তিনি দেখেন তার প্রেমিকা কান্নাকাটি করছে। পরে ওই ছাত্রী জানান, তিন যুবক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তখন প্রেমিক স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে দু’জনকে উদ্ধার করে।
সদর থানার ওসি (অপারেশন) জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন,“ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।”