শিশুরা জানতেও পারেনি সেটাই তাদের জীবনের শেষ দিন: বাঁধন

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মর্মাহত সারা দেশ। স্কুল শিক্ষার্থীদের এমন হতাহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে শোকের মাতম। যার রেশ ছুঁয়ে গেছে তারকাদের মাঝেও। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ওপর উত্তরার এই ঘটনা বেশ বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে। কারণ দুর্ঘটনার সেই এলাকার পাশেই বসবাস তার। এমনকি মেয়েকে নিয়ে সেই রাস্তা ব্যবহার করেই যাতায়াত করেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, উত্তরার এই ঘটনা খুব ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছি। সেই রাস্তা দিয়ে আমি প্রতিদিন আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই। তার স্কুল ঐ প্রতিষ্ঠানের খুব কাছেই। সৌভাগ্যবশত, এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে এতটাই মানসিকভাবে আঘাত করেছে যে, আমি আসলে কী অনুভব করছি তা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশও করতে পারছি না।

তিনি লেখেন, আমি যখন দূর থেকে দেখেই এতটা ভেঙে পড়েছি, তখন যারা সরাসরি এই ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদের এবং তাদের বাবা-মায়ের যন্ত্রণা কতটা গভীর, তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না। এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই।

অভিনেত্রীর কথায়, সেই নিষ্পাপ শিশুরা প্রতিদিনের মতোই সকালে স্কুলে গিয়েছিল, তারা জানতেও পারেনি যে সেটাই তাদের জীবনের শেষ দিন হবে। তারা নিরাপদে বাড়ি ফেরার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় তাদের জীবন সেদিনই থেমে গেল। যারা বেঁচে গেছে, তাদের জীবনে যে যন্ত্রণা ও ট্রমা থেকে যাবে, তা ভাষায় প্রকাশের ঊর্ধ্বে।

সবশেষ অভিনেত্রী লিখেছেন, আল্লাহ নিহতদের শান্তি ও আরাম দান করুন, এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এই অসহনীয় শোক সইবার শক্তি দান করুন। জীবন কতটা অনিশ্চিত, এই ঘটনা আমাকে সবচেয়ে বেদনাদায়কভাবে তা মনে করিয়ে দিয়েছে।

আল্লাহ তার রহমত বর্ষণ করুন এবং মৃত আত্মাদের জান্নাত নসীব করুন। আহত ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারকে আরোগ্য ও সান্ত্বনা দান করুন।