আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটবে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির প্রস্তুতিসভায় সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির দেশব্যাপী ইউনিয়ন পদযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সমন্বয়ে গতকাল বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রস্তুতিসভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে এখন বিএনপির আন্দোলন। সিন্ডিকেট করে ব্যাংক থেকে শুরু করে বাজার লুটপাট হচ্ছে সরকারের তত্ত্বাবধানে। ফলে জনজীবন অসহনীয় হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির পদযাত্রায় সারা দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। এটি মহানগরীর কোনো প্রোগ্রাম না। তাই সরকারের ন্যূনতম জ্ঞান থাকলে তারা সেদিকে যাবে না। আর বিএনপি হামলা মামলার কোনো ভয় করে না। ১৪ বছরে বিএনপিকে পরীক্ষা করেছে এই স্বৈরাচার সরকার। আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেও দমাতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া। তার সাহসী কণ্ঠে দেশের মানুষ যুদ্ধে উজ্জীবিত হয়েছিলো। আমরা সেই সাহসী মানুষের দল করি। আমাদের হামলা, মামলা, খুন ও গুম করে দমানো যাবে না।’ ‘এখন আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে গেছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে যে কারণে গেছি, এর মূল কারণটা হলো দেশের পুরো জনগণকে সম্পৃক্ত করে এই আন্দোলনটাকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের আল্টিমেট টার্গেট হচ্ছে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি করা হয়।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষায়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কু-ু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম লাভলু, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উথুলী ইউপি চেয়াম্যান আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিতুল্লাহ মহলদার, আলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, জেলা বিএনপির সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক আবু, মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, নূরগণি সমদানীসহ কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সকল উপজেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More