আলমডাঙ্গার কুমার নদে ৬টি অবৈধ বাঁধ অপসারণ : পানি প্রবাহ স্বাভাবিক

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ী ব্রিজ থেকে হারদী ইউনিয়নের জোড়া ব্রিজ পর্যন্ত অবৈধভাবে মাটির তৈরি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত ৬টি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ বাঁধ অপসারণের ফলে কুমার নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ান নাহিদের নেতৃত্ব কুমার নদে অবৈধভাবে দেয়া ৬টি বাঁধ অপসারণ করা হয়। ২২ জুন বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আলমডাঙ্গা কুমারি গ্রাম থেকে হাড়গাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত কুমার নদ থেকে এ বাঁধ অপসারণ করা হয়।

আলমডাঙ্গার কুমার নদে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার কয়েক কোটি টাকা দিয়ে পুনঃখনন করে। স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিরা কুমার নদের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের বেড়া ও মাটির তৈরি বাঁধ দিয় মাছ চাষ শুরু করে। প্রায় ১ মাস আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি কুমার নদে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা অসাধু ব্যক্তিদের বাঁধ সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। নদের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আলমডাঙ্গা কুমারি গ্রাম থেকে হাড়গাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় অবৈধভাবে দেয়া ৬টি বাঁধ অপসারণ করা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ রাওহা বলেন, জেলা নদী রক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে আলমডাঙ্গার কুমার নদের কুমারি থেকে হাড়গাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত বাঁশের বেড়া ও মাটি দেয়া বাঁধ অপসারণ করা হয় ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, নদী কোনো ব্যক্তি মালিকের হয় না। নদীর মালিক জনসাধারণ। চুয়াডাঙ্গা জেলার নদী রক্ষা কমিটির ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুমার নদের কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ী ব্রিজ থেকে হারদী ইউনিয়নের জোড়া ব্রিজ পর্যন্ত অবৈধভাবে মাটির তৈরি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত ৬টি বাঁধ টানা ৯ ঘণ্টার অভিযানের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ করায় নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অনেকাংশে বিঘিœত হয়েছে। এখন নদী তার পুরোনো সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে। এলাকাবাসীর মাঝে অত্যন্ত আনন্দ ও খুশির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা গেছে।

কুমার নদের বাঁধ অপসারণের সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ান নাহিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ রাওহা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, রায়হান হোসেন, বকুল হোসেন, আলমডাঙ্গা থানার এসআই আরমান হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী আশিকুল ইসলাম, নাজের আলী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More