আলমডাঙ্গা ব্যুরো/দর্শনা অফিস: আলমডাঙ্গায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, জাকজমক ও আনন্দঘন পরিবেশে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আলমডাঙ্গা উপজেলার শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। শহর প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রা রথতলা হরিবাসর আঙিনায় আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য এইদিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আলমডাঙ্গা জন্মষ্টামী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিদ্রনাথ দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাপদক মতিয়ার রহমান ফারুক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি সুশীল কুমার ভৌতিকা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি সমীর কুমার দে, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অমল কুমার বিশ্বাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন সরকার, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল কুমার কালু ঘোষ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার বিশ্বাস। জন্মষ্টামী উদযাপন পরিষদের যুগ্মআহবায়ক প্রশান্ত অধিকারীর উপস্থাপনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, শুশান্ত শাহা বুদ্ধ, বিশ্বজিৎ শাধু খা, লিপন বিশ্বাস, পলাশ আচার্য্য, বাদল মজুমদার, অশোক শাহা, হারান অধিকারী, বিদ্যুৎ সাহা, রাজকুমার অধিকারী, প্রশান্ত শিহি, সমীর সাহা রনো, উৎপল দত্ত, পবন অধিকারী, মদন সাহা ও মুক্তি অধিকারী প্রমুখ।
অপরদিকে, দর্শনায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, জাকজমক ও আনন্দঘন পরিবেশে শ্রী কৃষ্ণে জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়েছে। দর্শনা পুরাতন বাজার মন্দির কমিটির আয়োজনে দর্শনাসহ আশপাশ এলাকার সকল মন্দির কমিটির সদস্য ও ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে এবার আয়োজন স্মরণকালের সকল রেকর্ড ভেঙেছে। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার মন্দির চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বাদ্যের তালে দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে। দর্শনা পুরাতন বাজার পূজামন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম রঞ্জন দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শান্তারা মঙ্গলের নেতৃত্বে এ র্যালি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করেছে। র্যালি শেষে পূজামন্দিরে সংক্ষিপ্ত ধর্মীয় আলোচনা করা হয়। সন্ধ্যায় পূজামন্দিরে কেক কেটে শ্রী কৃষ্ণের জন্ম উৎসবের সমাপ্তি করা হয়েছে।