ঘরে তার ৩ স্ত্রী বিদ্যমান।বাচ্চু হুজুররে বয়সও ৬০ ছুঁয়েছে। তার তৃতীয় স্ত্রী নিঃসন্তান। বাকি দুই স্ত্রীর মোট ৭ ছেলে-মেয়ে। এই বয়সে ৩ স্ত্রী এবং সাত সন্তানকে রেখে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ছেন তিনি। বাচ্চু ‘হুজুর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের বাসিন্দা। আসল নাম আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (৬০)। তিনি স্থানীয় সমজিদের সাবেক ইমাম। এলাকায় তাকে সবাই বাচ্চু হুজুর নামেই চেনে।
পরিবারের সম্মান এবং লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন বিষয়টি প্রকাশ করেনি কেউ। গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই নারীর ছেলে ছেলে (২২) বাগমারা থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই নারীর ছেলে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। মামলার বাদী ওই নারীর ছেলে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তাদের সন্ধান চাই।’
বাচ্চু উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া এলাকায় মসজিদের ইমাম ছিলেন এবং কবিরাজি করতেন। ওই নারীর স্বামী ছিলেন তার রোগী। ওই প্যারালাইসিস রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়েই দুজনের পরিচয়। এক সময় নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন ওই কবিরাজ। বিষয়টি ছেলেদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে বাসায় আসতে নিষেধ করেন। গত ১১ এপ্রিল ওই নারী তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যাবেন বলে ঘর থেকে বের হন। কিন্তু পরে আর বাড়ি ফিরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেছে বাচ্চু হুজুর তাকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন। নারীর বড় ছেলে জানান, বাচ্চু হুজুরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নিষেধ করার পরও তিনি বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন। তিনি পানিপড়া ও তাবিজ-কবজ করতে জানেন। আমার মাও তার তাবিজ-কবজ ও পানি পড়ার খপ্পরে পড়েছেন। এছাড়া বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে মাকে প্রভাবিত করে বাচ্চু হুজুর নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ নিয়ে যান।