চুয়াডাঙ্গার কালুপোলে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অভিযোগ  

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কালুপোল প্রাইমারি স্কুলের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে প্রায় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এছাড়াও স্কুলের জায়গা দখল করে রাখায় রাস্তা সংকীর্ণ ও বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্রুত অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার কাজ শুরু করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে স্কুলটি জাতীয়করণ হয়। পুরনো ওই বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখের দুপাশে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ ব্যক্তি নিজেদের অদৃশ্য ক্ষমতাবলে দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখল করে পাকাঘর নির্মাণ শেষে ব্যবসা করছেন। এছাড়াও আমির হোসেন পিন্টু নামের সরকারি কর্মকতা গত ৪ মাস আগে স্কুলের জায়গা দখল করে নতুন দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে সাইদ খোকন নামের এক ইউপি সদস্যের দোকান রয়েছে। এছাড়াও দখলবাজদের মধ্যে রয়েছেন কালুপোল গ্রামের ম্যাগার ছেলে শফি উদ্দিনের একটি ঘর, মৃত ইয়াকুব্বারের ছেলে সিরাজুল ইসলামের দুটি, মৃত তালেব হোসেনের ছেলে ফয়েজ উদ্দিনের একটি, মৃত মিনাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুলের একটি, মৃত খোকাই ম-লের ছেলে মজিবার রহমানের একটি, খেজুরতলা গ্রামের রমজান বিশ্বাসের ছেলে পিন্টুর একটি, মৃত করিমের ছেলে মহি উদ্দিনের একটিসহ মোট ১০টি দোকানঘর রয়েছে। এছাড়াও চিত্রা নদীর জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন কওছারের ছেলে সাহাজান, মৃত আকবরের ছেলে আব্দুল, মজুহারের ছেলে আরমান, গফুরের ছেলে সাজাহান, মৃত কাবরানের ছেলে রাজ্জাক, মৃত জাহাবক্সের ছেলে রাজ্জাকের পরিত্যক্ত ঘর ও মৃত ইন্তাজের ছেলে রবিউল ইসলাম নদীর জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন। এ বিষয়ে কালুপোল গ্রামের ইউপি সদস্য সাইদ খোকন বলেন, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হলে স্কুল ও বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হবে। এ বিষয়ে কালুপোল প্রাইমারি স্কুলের সভাপতি আবুল কাশেম জানান, দোকানঘর মূলত সরকারি জায়গায় রয়েছে। আমাদের স্কুলের শুধু পাঁচিল ব্যবহার করে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি। দখলদারদের সাথে কথা বলে তাদের ৭ দিনের মধ্যে জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More