চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর মসজিদে বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার পীরগঞ্জ ঠাকুরপুর মসজিদে বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে হালকায়ে জিকিরেরও আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যদিয়ে বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আয়োজন সফল করতে আয়োজক কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের তোড়জোড়ের কমতি ছিলো না। এবার প্রধান বক্তা ছিলেন রাজধানী ঢাকার কলতা বাজার জামে মসজিদের খতিব হযরত হাফেজ মাওলানা মো. উবাইদুল¬াহ মাজহারী। বিশেষ বক্তা ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতী জুনাইদ আল হাবিবী ও পীরগঞ্জ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।
হাজারো নারী-পুরুষের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের অবাধ বিচরণ চোখে পড়ে এখানে। অনেক মুসল্লি এসবের আপত্তিও করেন। আয়োজকদেরই একজন জানালেন, হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। অনেক প্রসাধনির দোকানপাট বসার ফলে এ আয়োজন অনেকটা মেলায় রূপ নেয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাস টার্মিনালেরই অদূরে ঠাকুরপুর। কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি পীরগঞ্জ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহিত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্ভুজ মসজিদটি। ইসলামধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যারা, তাদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মালসামানা নামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিলো ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More