চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তপু হত্যা মামলার আসামি সাদিকের আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ তপু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাদিক হোসেন (১৬) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের (জেলা ও দায়রা) বিজ্ঞ বিচারক মুসরাত জেরিন তার বয়স বিবেচনায় ওই নির্দেশ দেন। একই সাথে তার জামিন আবেদন নাকচ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কেএম জাহাঙ্গীর কবীর জানান, গতকাল বিকেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী তপু হত্যা মালার অন্যতম আসামি শহরের ফার্মপাড়ার দোদো আলীর ছেলে সাদিক আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। বয়স কম হওয়ায় তাকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আজ শুক্রবার তাকে সেখানে পাঠানো হবে।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, তপু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রুপম হোসেন গত ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করলে তাকেও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে ৮ নভেম্বর মামলার এজহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১১ নভেম্বর মামলার অন্যতম আসামি এমদাদুল হক আকাশ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে গ্রেফতার হওয়া আসামি এমদাদুল হক আকাশ ও সুমন হোসেনের ১০ ও ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামি সুমনের জামিনের জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী। সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে আসামিদের আবারও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে তারা। গত ২৫ নভেম্বর মালার প্রধান আসামি শিহাব আলী ও আরেক আসামি ইমন হোসেন তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। বয়স কম হওয়ায় তাদের যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার গুলশানপাড়ায় আল হেলাল মাধ্যমিক ইসলামী একাডেমিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের মধ্যে এসএসসি পরিক্ষার্থী তন্ময় আহমেদ তপুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন রাত ১২টার দিকে তপুর ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More